সিলেট: সিলেটে রপ্তানি উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘... অবশ্য এজন্য স্থানীয় রপ্তানিকারকদেরই ভূমিকা বেশি।
এছাড়া এখানকার অনাবাদী জমিগুলোকে চাষের আওতায় আনার তাগিদ দেন জালাল আহমেদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘হিমায়িত ফল ও সবজি রপ্তানি: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জামাল আহমেদ আরো বলেন, ‘সিলেটের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণমূলক কর্মসূচির ব্যবস্থা করা হবে। ভবিষ্যতে তাদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলা অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হবে। ’
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টির প্রশাসক ফারুক মাহমুদ চৌধুরীর সভাপত্বিত্তে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ ভেজিটেবল অ্যান্ড ফ্রোজেন ফিস এক্সপোর্ট গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ, সিলেট উইমেন বিজনেস ফোরামের সভাপতি ডা. আনোয়ারা খাতুন, সিলেট কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জয়দেব রায়, ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল, মোসলেহ উদ্দিন।
বক্তারা বলেন, প্রতিবছর সিলেটে প্রচুর টমেটো উৎপাদন হয়। যথাযথ সংরক্ষণ ও রপ্তানির ব্যবস্থা প্রতিবছর এটি প্রচুর পরিমাণে নষ্ট হয়। অন্যদিকে মৌসুমের সময় চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অনেক বেশি হয় বলে দাম অনেক কমে যায়। কৃষকরা তাদের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। কৃষকরা যথাযথ মূল্য না পাওয়ায় দিন দিন টমেটো উৎপাদনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
সিলেটে ফল ও সবজি রপ্তানির জন্য প্রসেসিং জোন স্থাপনেরও দাবি জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১০