ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যাংককের ভেজথানি হাসপাতালে বাংলাদেশের ছোঁয়া

তপন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১০
ব্যাংককের ভেজথানি হাসপাতালে বাংলাদেশের ছোঁয়া

ব্যাংকক থেকে ফিরে: থাইল্যান্ড ব্যাংককের অত্যাধুনিক ভেজথানি হাসপাতালে বাংলাদেশের ছোঁয়া পাওয়া হলো। এ হাসপাতালে ওষুধের কোনও গন্ধ নেই।

ছিমছাম পরিপাটি প্রতিটি স্থান।

এর রহস্য জানালেন কো-অর্ডিনেটর আনোয়ারুল ইসলাম। হাসপাতালের নিচ তলায় সারি সারি কফি শপ। তিনি বললেন, এ কারণেই  হাসপাতালে ওষুধের কোনো গন্ধ নেই।

আনোয়ারুল ইসলাম একা নন, এখানে কয়েকজন বাংলাদেশি উদীয়মান তরুণ- তরুণী আন্তর্জাতিক কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছেন। অন্যরা হচ্ছেন, রকিব হোসেন খান, সাদিয়া আফরোজ, শারমিন বিনতে রেজা ও হাসান ইকবাল। তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ বাংলাদেশ থেকে যাওয়া রোগীরা।

বরিশালের বাসিন্দা লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত কাজী মাহবুব (৪৩) এখন ব্যাংককের এ অত্যাধুনিক হাসপাতালে বাঙালিদের আতিথেয়তা ও চিকিৎসকের চিকিৎসায় নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন।

এদিকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী এ হাসপাতালে শরীরের সাত কেজি চর্বি ও মেদ ঝরিয়ে ভীষণ খুশী।   ভেজথানিতে ১৭ দিন চিকিৎসা শেষে মৌসুমী ও তার স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানি গত ৩ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন।
 
সম্প্রতি ব্যাংককে সফরকালে ভেজথানি হাসপাতাল পরিদর্শনে উল্লেখিত কয়েকজন কো-অর্ডিনেটরদের সঙ্গে কথা হয়, এরা এই হাসপাতালের সেবার মান, চিকিৎসা খরচ ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসহ যাবতীয় তথ্য জানান। সেই দেশের চিকিৎসক ও বাংলাদেশ  - ভারত থেকে আসা রোগীদের জন্য দোভাষীর ভূমিকা পালনসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দেন তারা। মূলতঃ তাদের সার্বিক সহযোগিতায় ভেজথানি হাসপাতালে বাংলাদেশি আতিথেয়তার ছোঁয়া যেন লেগেই আছে।
 
কো-অর্ডিনেটর আনোয়ারুল ইসলাম  ও রকিব হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, ভেজথানি চিকিৎসার মান ও সেবার দিক থেকে আধুনিক যে কোনো হাসপাতালের সমান। তবে আর্ন্তজাতিকভাবে  প্রচার হয়নি বলেই হয়তো বাংলাদেশের নাগরিকরা ভেজথানি হাসপাতাল সম্পর্কে তেমন অবগত নন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি বাংলাদেশের রোগীদের কথা চিন্তা করে ঢাকায় তথ্য অফিস খোলেন ও বাংলাদেশি কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ দেন। এরপর থেকে হাসপাতালটিতে বাংলাদেশের রোগীদের সাড়া মিলতে শুরু করে।

কো-অর্ডিনেটররা বলেন, হাড়ভাঙা চিকিৎসায় এ হাসপাতালের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। এর পাশাপাশি ক্যান্সার, কিডনি ও ওপেন হার্ট সার্জারি থেকে  সকল জটিল রোগের অত্যাধুনিক চিকিৎসার সুযোগ এই হাসপাতালে রয়েছে।

কো-অর্ডিনেটর রকিব খান বলেন, ব্যাংককের অন্য বড় হাসপাতালগুলোর চাইতে এই হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কম। এখানে বাংলাদেশের রোগী প্রতিদিন গড়ে ৬ জন ভর্তি হচ্ছেন ।

ইউরোপ - আমেরিকা থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেওয়া চিকিৎসকদের নিয়ে ব্যাংককের ব্যস্ততম লাডপ্রাউ রোডে অবস্থিত ১২তলা বিশিষ্ট  ৫০০ শয্যার ভেজথানি হাসপাতালটি  যেন একটি পরিবার। এখানে পরিবারের সদস্য হিসেবে পরম মমতায় রোগীদের গ্রহণ করা হয় এবং সেবা দেওয়া হয়।

হাসপাতালটিতে যোগাযোগের ঠিকানা:

ভেজথানি হাসপাতাল, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
ওয়েবসাইট:
www.vejthani.com
 
আন্তর্জাতিক সমন্বয়কারী:
মো. আনোয়ারুল ইসলাম
ফোন: ০০৬৬৮৫৫৫৫২৭৭০
রাকিব: ০০৬৬৮১১৩২০০৩২
ফয়সল: (কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ): ০১৭৩২১৬৬৬৪১
রাজিব বড়ুয়া (সিনিয়র মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ)
ফোন: ০১৭১১১২৩৫৭৯

বাংলাদেশ সময় ১৪০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।