চট্টগ্রাম: অবিলম্বে চট্টগ্রাম বন্দরের অচলাবস্থা সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহলকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানিয়েছে চট্টগ্রাম চেম্বার গঠিত বন্দর সংক্রান্ত মনিটরিং কমিটি।
মঙ্গলবার সংগঠনের কার্যালয়ে মনিটরিং কমিটির এক সভায় বন্দরের লাগাতার অচলাবস্থার জন্য তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংস্থা।
সভায় বন্দর সচল করতে প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনসহ সরকার নেওয়া যে কোনো পদেক্ষেপর প্রতি মনিটরিং কমিটি একাত্মতা ঘোষণা করে।
এছাড়া সাতটি সুপারিশ ও দাবি উপস্থাপন করা হয় সভায়।
ব্যবহারকারীরা বন্দরে আগত ৭৪টি পণ্যবাহী জাহাজ গত পাঁচদিন ধরে আটকে থাকায় ক্ষতিপূরণ বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ সরকার বা বন্দর কোষাগার থেকে পরিশোধের দাবি জানানো হয়।
তবে বন্দর অচলের জন্য স্টেকহোল্ডাররা কোনভাবেই দায়ী নন বলে তারা ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করবেন না বলে নেতৃবৃন্দ জানান। এছাড়া বন্দর কর্তৃপ ও নৌ-মন্ত্রণালয় কর্তৃক বন্দর ব্যবহারকারী সংস্থাসমূহের সুপারিশমালা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নেরও দাবি জানানো হয়।
সভায় চেম্বার সহ-সভাপতি এস. এম. শফিউল হক, বিজিএমইএ’র এ. এম. চৌধুরী সেলিম, বিকেএমইএ’র শওকত ওসমান, বারভিডা’র মাহবুবুল হক চৌধুরী (বাবর), সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ১ম যুগ্ম সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু ও বন্দর বিষয়ক সম্পাদক লিয়াকত আলী হাওলাদার, শিপিং এজেন্টস প্রতিনিধি ও চেম্বার পরিচালক ওয়াসিউর রহমান চৌধুরী এবং সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১০