ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে ঠকবেন না, ইইউর ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২৩
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে ঠকবেন না, ইইউর ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যমন্ত্রী বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিনিয়োগকারীদের বলব, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেন, বাংলাদেশ ভালো জায়গা, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে আপনারা ঠকবেন না। ব্যবসায়ী এবং সরকার মিলে আমরা আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করব।

বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার্স অব কমার্স (ডিসিসিআই) ও ইইউর যৌথ আয়োজনে বাংলাদেশে পরিচালিত ইইউর কোম্পানিগুলোর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ বিষয়ক এক যৌথ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমরা ৫০ বছরের সম্পর্কপূর্তি উদযাপন করেছি। ১ মাস আগে আমি আমস্টারডামে এরকম একটি চমৎকার সেমিনার করেছি। বাংলাদেশে সমস্যা আছে, তবে সুযোগও আছে অনেক। আমাদের ব্যাংকিং সমস্যা আছে, এলসি সমস্যা আছে। আমরা একমত যে সমস্যা আছে। কিন্তু আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিঞা বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত আছে। আমাদের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে। ১০৯টি হাইটেক পার্ক আছে। ইউরোপীয় বন্ধুদের বলব, আপনারা যদি চান, এখানে ভালো কোম্পানির সঙ্গে সমন্বয় করতে পারবেন। আমাদের সবার একটিই উদ্দেশ্য, বাংলাদেশে অধিক বিনিয়োগ। আর, যে সংকট ছিল আগামী ডিসেম্বরে সেটি কেটে যাবে। বিডা থেকে বিনিয়োগকারীরা বিশ্বমানের সেবা পাবেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার বলেন, ইইউ থেকে এলডিসি পরও বিদ্যমান যেসব সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ, সেগুলো অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। পাশাপাশি জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী। এর মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়বে।

সেমিনারে ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর সরাসরি বিনিয়োগে অনেক গ্যাপ আছে। যা হতাশাজনক। বাংলাদেশের মতো অন্যান্য দেশ যেমন- গত ১৫ বছরে ভিয়েতনামে ইইউর সরাসরি বিনিয়োগ আছে ২৮ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বাংলাদেশে ইইউর বিনিয়োগ ৫ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। বাংলাদেশের জিএসপি প্লাস সুবিধা নেওয়ার সুযোগ আছে অস্ত্র বাণিজ্য ছাড়া।

তিনি আরও বলেন, এসব বিষয় পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম আইন বাস্তবায়ন জরুরি। আন্তর্জাতিক শ্রম আইন বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশে ইইউর বিনিয়োগ বাড়বে। আমরা  সংশোধিত শ্রম আইনের ওপর নজর রেখেছি। আজকের যে আলোচনা হয়েছে, সেটি পরবর্তীতে আমরা উত্থাপন করব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২৩
এমকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।