ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

জুয়েলারি শিল্পের বিকাশ নিয়ে ছায়া সংসদ এটিএন বাংলায় শুক্রবার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
জুয়েলারি শিল্পের বিকাশ নিয়ে ছায়া সংসদ এটিএন বাংলায় শুক্রবার

ঢাকা: জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে সরকারি-বেসরকারি ভূমিকা নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এ প্রতিযোগিতাটি আগামী শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে এটিএন বাংলায় প্রচারিত হবে।

ছায়া সংসদটির আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।  

যুক্তি-পাল্টা যুক্তির মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিকে পরাজিত করে ঢাকা কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়।  

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক মো. আলমগীর হোসেন, সাংবাদিক রুহুল আমিন রাসেল, সাংবাদিক কাবেরী মৈত্রেয় ও সাংবাদিক রেফায়েত উল্লাহ মীরধা।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, জুয়েলারি শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীরা স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত নয়। স্বর্ণ চোরাচালানের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। আইনি দুর্বলতার কারণে স্বর্ণ চোরাচালান সংক্রান্ত মামলার বিচার দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আমাদের দেশে শুল্ক গোয়েন্দারা যেভাবে স্বর্ণের দোকানে অভিযান চালিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল করে তা সঠিক নয়। স্বর্ণ শিল্পের বিকাশের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন করে ট্যাক্স, ভ্যাট সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জুয়েলারি পণ্য বিদেশের বাজারে জনপ্রিয় করতে এর নান্দনিকতা ও আধুনিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করাসহ ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশের বৈদেশিক আয়ের সিংহভাগই আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি ও অভিবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে। দেশের জুয়েলারি শিল্পে যে অমিত সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে তাতে অনুমান করা যায়, সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে জুয়েলারি শিল্পও তৈরি পোশাক রপ্তানির মতো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে সব ছোট-বড় জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানকে এক ছাতার নিচে আনার যে প্রচেষ্টা তা নিশ্চয়ই এ শিল্পের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে দেশে গোল্ড জুয়েলারির বাজার প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা, যা জাতীয় বাজেটের প্রায় এক তৃতীয়াংশ। আমরা যদি জুয়েলারি শিল্পের দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারি, তাহলে মোট জিডিপি ১ থেকে দেড় শতাংশ বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।