ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতির স্বার্থে আমাদের মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা সহ্য করতে হবে।
প্রতিবেশি ভারত পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি বাংলাদেশের তুলনায় বেশি উল্লেখ করে কভর্নর বলেন, ‘প্রতিবেশি দেশে এ অবস্থা বিরাজ করলে তার ঢেউ আমাদের এখানেও লাগে।
রোববার রাজধানীর হোটেল শেরাটনে ফ্রান্স-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ‘মুদ্রানীতি সমন্বিত প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করবে’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ফ্রান্স-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি শাহ সৈয়দ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশিদ। এছাড়াও ফ্রান্স-বাংলাদেশ-চেম্বারের ব্যবসায়ী নেতারা সেমিনারে অংশ নেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘অর্থনীতির সব ক্ষেত্রেই এখন ‘উইন উইন’ অবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থা বিরাজ করলে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে আমাদের বেগ পেতে হবে না। ’
বর্তমানে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষির ওপর জোর দিতে হবে। অর্থনীতির অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে হলে কৃষির কোনো বিকল্প নেই।
সমগ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয় করা গেলে এক শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে গভর্নর মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর জানান, এখনই ডলারের বিপরীতে টাকার মান বাড়ানোর পরিকল্পনা বাংলদেশ ব্যাংকের নেই। কারণ এতে আমদানিকারকরা লাভবান হলেও রপ্তানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অর্থনীতির অবস্থা আরও স্থীতিশীল হলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে গভর্নর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ব্যাখ্যা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১০