ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পুঁজিবাজার: হরতালেও দেড় হাজার কোটি টাকার লেনদেন

এসএম গোলাম সামদানী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩২ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১০

ঢাকা: দেশের দুই পুঁজিবাজারে এই প্রথমবারের মতো কোনো রাজনৈতিক দলের ডাকা পূর্ণদিবস হরতালের মধ্যেও স্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট লেনদেন হয়েছে দেড় হাজার কোটির বেশি টাকার শেয়ার।

সূচকও ছিল ঊর্ধ্বমুখী।

অবশ্য হরতালের কারণে এদিন লেনদেন কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট পর। চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সোয়া ১১টায়।

স্বাভাবিকভাবে সকাল ১১টায় লেনদেন শুরু হয়ে থাকে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পুঁজিবাজারে লেনদেন হলেও হরতালের কারণে ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিল কিছুটা কম।

লেনদেন চালু রাখা প্রসঙ্গে ডিএসই সভাপতি শাকিল রিজভি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, “কোরাম পূর্ণ হওয়ায় কারণেই স্বয়ংক্রিয়ভাবেই লেনদেন শুরু হয়েছে। ”

নিয়ম অনুযায়ী, ন্যূনতম ৭০টি ব্রোকারেজ হাউজ ট্রেড সার্ভারে ‘লগ অন’ করলেই কোরাম পূর্ণ হয়।

সিএসই সভাপতি ফখরউদ্দিন আলী আহমদ বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিয়ারেন্স হাউজ খোলা থাকায় লেনদেন হয়েছে। বিগত দিনে বেশিরভাগ হরতালে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিয়ারেন্স হাউজ খোলা ছিল। ”

উল্লেখ্য, হরতালে লেনদেন বন্ধ রাখার ব্যাপারে সিএসইর বোর্ডসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

এক নজরে আজকের পুঁজিবাজার

রোববার লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাজার ছিল বেশ ঊর্ধ্বমুখী। ডিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ২২ দশমিক ৮৫ বেড়ে ৬ হাজার ২১২ দশমিক ৭০ হয়। ডিএসই-২০ মূল্যসূচক ৪৩ দশমিক ৯৮ বেড়ে ৩ হাজার ৬৯০ দশমিক ৩৬ হয়।  

এছাড়া ডিএসইতে ২৪৫টি কোম্পানির ৫ কোটি ৪১ লাখ ৭২ হাজার ৭৭০টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৯ টির, কমেছে ১১৮ টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৮টি কোম্পানির শেয়ার।

ডিএসইতে মোট লেনদেন দাঁড়ায় ১ হাজার ৫২১ কোটি ৯৭ ল ৮৮ হাজার টাকা যা আগের দিনের চেয়ে ৩৭ কোটি ১১ লাখ টাকা কম।     

তবে গত ২১ জুন ডিএসইতে লেনদেন হয় মোট ১২৪৫ কোটি এবং ২২ জুন ১২৪৯ কোটি টাকা।

লেনদেনের ভিত্তিতে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো- বেক্সিমকো লি., শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, এবি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, তিতাস গ্যাস, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক লি., ন্যাশনাল কমার্স অ্যান্ড ক্রেডিট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক।

দাম বাড়ার দিক দিয়ে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো- এক্সিম ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ন্যাশনাল কমার্স অ্যান্ড ক্রেডিট ব্যাংক, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, আরামিট, ইসলামী ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লি., ৭ম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক।

দাম কমার শীর্ষ ১০টি কোম্পানি হলো- ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, পূরবী জেনারেল ইন্সুরেন্স, গ্লাক্সোস্মিথ, কাশেম সিল্ক, জেমিনি সি ফুড, রহিম টেক্সটাইল, লিগাসি ফুড, ঢাকা ফিসারিজ, আনলিমা ইয়ার্র্ন, সাফকো স্পিনিং।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১০
জিএস/কেএল/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।