ঢাকা: সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী চিনিশিল্প শ্রমিকদের জন্য জাতীয় মজুরি কমিশন গঠন এবং বাস্তবায়নসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন।
একই দাবিতে কর্মবিরতি, ধর্মঘটসহ আন্দোলন কর্মসূচিরও ঘোষণা দিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এসব দাবি আদায়ে তারা ১০ অক্টোবর জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ, ২০ ও ২১ অক্টোবর দুই ঘণ্টা প্রতীকী ধর্মঘট, ২৫ অক্টোবর চিনিশিল্প ভবন ঘেরাও এবং ২৯ অক্টোবর পূর্ণ দিবস ধর্মঘট পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারশনের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম লতিফ।
তিনি বলেন, সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রয়ত্ত মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও শ্রমিকদের জন্য একই সঙ্গে যথাক্রমে পে কমিশন ও মজুরি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেয়। অথচ ২০০৯ সালের ১ জুলাই থেকে কর্মচারীরা পে কমিশনের আওতায় বেতন-ভাতা পেলেও শ্রমিকদের জন্য এখনো কমিশন ঘোষণা করা হয়নি।
দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন ১৬টি চিনিকল রয়েছে যেখানে প্রায় ১৭ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক জানান, সরকার গত ৯ মে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের জন্য ১৭ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। আজ অবধি সে কমিশনের সদস্যদের নাম পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘২০০৫ সালের গেজেট অনুযায়ী যেখানে একজন সাহায্যকরী (চতুর্থ শ্রেণী) ২৪৫০টাকা পায় সেখানে একজন চতুর্থশ্রেণীর কর্মচারী পে-কমিশন অনুযায়ী ৪১০০ টাকা বেতন পাচ্ছে। ’
এছাড়া তিনি চিনি শিল্পের কৃষি বিভাগকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘এতে করে সরকারের বার্ষিক ১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে ফলে চিনির উৎপাদন ব্যয় কমবে। ’
তারা পেনশন সুবিধার আলোকে গ্র্যাচুইটি প্রদান, নদী ভাঙনের হাত থেকে জিল বাংলা সুগার মিলসকে রক্ষারও দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১০