ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দ. কোরিয়াকে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১০
দ. কোরিয়াকে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান

ঢাকা: বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান।

বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্য বিষয়ক এক সেমিনারে এ আহ্বান জানান তিনি।



সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ফারুক খান বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের খুবই উপযুক্ত স্থান। এ দেশে খুব ভালো ও দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া এ জনশক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ নিতে পারে। ’

এ সময় তিনি শিল্পোন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিজ্ঞতা এবং কারিগরী দক্ষতা বাংলাদেশের শিল্পখাতে কাজে লাগানোর ব্যাপারেও আগ্রহ দেখান।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের প্রতিবেশী দেশই। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে দু’টি দেশ পরস্পরের আরও কাছাকাছি আসতে পারি এবং একে অন্যের সুখ ও দুঃখের সাথী হতে পারি। ’

সেমিনারে কোরিয়া ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (কইমা)’র ১৩ সদস্যের এক ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই ও কোরীয় ব্যবসায়ীদের সংগঠন কইমা’র মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এফবিসিসিআই’র পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং কইমা’র পক্ষে চেয়ারম্যান ড. জু তায়ে লি এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এর মাধ্যমে দু পক্ষই ব্যবসার সুযোগ, শিল্পসংশ্লিষ্ট সহযোগিতা, বিনিয়োগ, যৌথ উদ্যোগ সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করতে পারবে।

এছাড়া বাণিজ্য, শিল্প এবং কারিগরী বিষয়ে উভয় পক্ষ পরস্পরকে সহায়তা করতে পারবে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষাগ্রহণ ও পেশাগত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমেও অংশ নিতে পারবে।
        
সেমিনারের কার্যকরী অধিবেশনে দু’ দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১ শ’ ৪০ দশমিক ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য কোরিয়ায় রপ্তানি করে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করে ৮ শ’ ৩৭ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।

কোরিয়ার বাজারে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলো ২ শ’ ৫১টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা পাচ্ছে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তাইইয়ং চো।

আরও বক্তব্য রাখেন ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, কইমা’র চেয়ারম্যান ড. জু তায়ে লি, কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেবিসিসিআই)’র সভাপতি এসএম কামালউদ্দিন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (রপ্তানি) মনোজ কুমার রায় প্রমুখ।    

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯,২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।