ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পুঁজিবাজার: বীমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের শর্ত শিথিল হচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১০
পুঁজিবাজার: বীমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের শর্ত শিথিল হচ্ছে

ঢাকা: নতুন বীমা আইন অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধনে উদ্যোক্তাদের অংশ বাড়ানোর পর বীমা কোম্পানিগুলোর প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। এক্ষেত্রে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিশোধিত মূলধনের শর্ত শিথিল করা হবে।



মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে’ অনুষ্ঠিত ‘পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশের বাইরে অবস্থানরত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিতের সম্মতি পাওয়ার পর এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।

বৈঠকে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখতে এসইসি’র গৃহীত সম্প্রতি নেওয়া পদক্ষেপসমূহ যথাযথ বলে আখ্যায়িত করা হয় বলে জানা গেছে।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে পুঁজিবাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হলেও বীমা কোম্পানির তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন জটিলতাই ছিল মূল আলোচ্য বিষয়।

এছাড়া বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়ার বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে সূত্র জানায়।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রলালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, এক মন্ত্রণালয় আরেক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মানে না। এ অবস্থায় বিষয়টি সর্বোচ্চ পর্যায়ে তথা প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত করাই ঠিক হবে।

সূত্র জানায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৪০ কোটি টাকা হওয়া বাধ্যতামূলক হওয়ার কারণে বীমা কোম্পানির তালিকাভুক্তি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। নতুন বীমা আইনে জীবনবীমা কোম্পানির ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে বীমা আইনের শর্ত পূরণ করলেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না। এ জটিলতা এড়াতে বীমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের শর্ত শিথিল করার প্রস্তাব দিয়ে গত জুলাই মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় এসইসি। মঙ্গলবারের বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সূত্র জানায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য ৪০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের শর্ত থাকলেও জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে বীমা আইনের শর্ত অনুযায়ী ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন পূর্ণ হলেই পুঁজিবাজারে আসার সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আগের বীমা আইন অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধনে উদ্যোক্তাদের অংশ (৬০ শতাংশ)  পূরণ করতে হবে। এরইমধ্যে এসইসিতে যে ৫টি কোম্পানি আইপিওর জন্য আবেদন জমা দিয়েছে, সেসব কোম্পানির ক্ষেত্রেও পরিশোধিত মূলধনে উদ্যোক্তাদের অংশ পূরণ করার পর তালিকাভুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী বীমা কোম্পানির শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক। তবে লাভজনক না হওয়াসহ নানা কারণে অনেক কোম্পানিই এখন পর্যন্ত শেয়ারবাজারে আসতে পারেনি। এরমধ্যে ৫টি বীমা কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য এসইসিতে আবেদন করেছে। এগুলো হলো- সানফাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স এবং পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।  

বাংলাদেশ সময় : ২১২০ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।