ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মার্জিন লোন: এসইসির সিদ্ধান্ত ৩ মাসের জন্য স্থগিত

এসএম গোলাম সামদানী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১০
মার্জিন লোন: এসইসির সিদ্ধান্ত ৩ মাসের জন্য স্থগিত

ঢাকা: শেয়ারের বাজার মূল্য ও প্রকৃত সম্পদ মূল্যের (এনএভি) অর্ধেকের ভিত্তিতে মার্জিন লোন নির্ধারণ এবং ঋণ-অযোগ্য কোম্পানির শেয়ারের নেটিং সুবিধা বন্ধ সংক্রান্ত এসইসির সিদ্ধান্ত তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি সৈয়দা আফসার জাহান ও বিচারপতি মামনুন রহমানের আদালত এ স্থগিতাদেশ দেন।



আদালত নির্দেশনা দু’টিকে কেন আইন বহির্ভূত ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে নাÑ তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়, এসইসি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে হবে।

একইসঙ্গে আদালত মার্জিন লোন নির্ধারণ ও নিটিং সুবিধা বন্ধ সংক্রান্ত ৬ ও ২১ সেপ্টেম্বর জারি করা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) দু’টি প্রজ্ঞাপনের সব নির্দেশনার কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করে।
 
এর আগে রোববার বিনিয়োগকারী মোরশেদুল রহমান ও শাহনেওয়াজ জুয়েল মার্জিন লোন প্রদানের বিষয়ে এসইসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। সোমবার ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত এ স্থগিতাদেশ দেন।

রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ।
 
এ ব্যাপারে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও কমিশনের মুখপাত্র মো. আনোয়ারুল কবির ভুঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্ত বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে কাগজপত্র পাওয়ার পর এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয়র ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’
 
ডিএসই’র সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বাংলানিউজকে বলেন,  ‘মার্জিন লোন সংক্রান্ত এসইসির সিদ্ধান্ত ছিল একটি অবাস্তব সিদ্ধান্ত। কমিশন যদি আরও আগে তাদের মার্জিন লোন সংক্রান্ত নির্দেশনা পূর্ণবিবেচনা করতো তাহলে এটি আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন হতো না। ’
 
উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) শেয়ারের বাজার দরের সঙ্গে প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) সমন্বয় করে মার্জিন নির্ধারণের জন্য একটি নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনায় বলা হয়, এনএভি ও বাজার মূল্যের যোগফলের অর্ধেকের ভিত্তিতে কোনো কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো কী পরিমাণ ঋণ দিতে পারবেÑ ডিএসই প্রতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে তা নির্ধারণ করবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সর্বশেষ ঘোষিত আর্থিক বিবরণীতে উল্লেখিত এনএভি’র ভিত্তিতে মার্জিন নির্ধারণ করা হবে।
 
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, ডিএসই নির্ধারিত মার্জিন হিসাব করে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী গ্রাহককে অতিরিক্ত অর্থ জমা দিতে বলবে (মার্জিন কল)। সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অতিরিক্ত টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হলে মার্জিন বিধিমালা অনুযায়ী ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক তার হিসাবে থাকা শেয়ার বাধ্যতামূলক বিক্রি (ফোর্স সেল) করে ঋণ সমন্বয় করবে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।