কিশোরগঞ্জ: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, জনতা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাত বুদ্ধিদীপ্ত জ্ঞানভিত্তিক সুসংগঠিত সমাজ ব্যবস্থার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, দারিদ্রতা ও দুর্নীতি নির্মূল করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি আজ শনিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে স্থানীয় ‘তর্কালঙ্কার মঞ্চ’ আয়োজিত ‘কেমন বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা চেয়েছিলাম সুস্থ-সবল, জ্ঞানসমৃদ্ধ, চেতনা ভিত্তিক ও বিভেদহীন বাংলাদেশ। কিন্তু ৭৫-এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এ স্বপ্নকে হত্যা করা হয়। এরপর আমাদের অঢেল সম্পদ থাকা স্বত্তেও আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। জাতির জনককে হত্যা করা না হলে আজ মালয়েশিয়ার চেয়েও উন্নত দেশ হতো বাংলাদেশ।
আশার কথা, আমরা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছি। ২০২১ সালে অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হবে বাংলাদেশ। তবে এ েেত্র জামায়াতে ইসলামী ও তাদের অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমুহকে রুখতে হবে।
তিনি আরও বলেন , স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে ৩ ল কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান এসেছে। আর বিগত ৩৫ বছরে লুট হয়েছে এর ৭৫ ভাগ। এসব টাকা লুট করেছে সিভিলিয়ান মিলিটারি, আমলা, রাজনীতিবিদ ও এনজিওরা মিলে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কালো টাকার পরিমাণ ৭ল কোটি টাকা। এর একটি অংশ বিদেশে চলে গেছে। ভূমিদস্যু, জলদস্যু ও বনদস্যু, কথিত সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদরা মতাসীন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় ২ কোটি বিঘা খাস জমির মালিক। ৭৮ ল বিঘা অর্পিত সম্পতির মালিকও তারাই।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ছড়াকার জাহাঙ্গীর আলম জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলার সরকারি কৌসুলি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক, অধ্য শরীফ আহমেদ সাদী প্রমূখ। পরে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মাঝে সম্মাননা পত্র ও পদক তুলে দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১০
প্রতিনিধি/এনএস