ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

‘ওমিক্রন’ নিয়ে উদ্বেগ ভারতেও 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
‘ওমিক্রন’ নিয়ে উদ্বেগ ভারতেও 

কলকাতা: করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ যথেষ্ট উদ্বেগজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বের অনেক টিকা এই প্রজাতিকে রোধ করতে অক্ষম হবে।

যদিও এর সঠিক তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।  

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় ওমিক্রন। তবে এই নতুন প্রজাতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভারতকেও।  

২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতের দিল্লি হয়ে মুম্বাইয়ে আসা এক ভারতীয় নাগরিকের শরীরে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে সেই ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত কি না, তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ওই ব্যক্তিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।  

৩২ বছর বয়সী মুম্বাইয়ের বাসিন্দা ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন থেকে দিল্লি পৌঁছান। সেখানেই তার করোনা পরীক্ষা হয়। এরপর কানেকটিং ফ্লাইট ধরে মুম্বাই আসেন।  

জানা যায়, ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস রয়েছে। যদিও শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির উপসর্গহীন। বাড়ি ফিরে প্রথমে হোম কোয়ারেন্টিন ছিলেন। পরে মুম্বাই পুরসভার পক্ষ থেকে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।  

এমন তথ্য ভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন মুম্বাইয়ের ডোম্বিভলি পুরসভার প্রধান মেডিক্যাল কর্তা প্রতিভা পানপাতিল।  

ফলে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খোঁজ চলছে। পুরো বিষয়টি মুম্বাইয়ের এয়ারপোর্ট অথরিটিকেও জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন পুরসভার স্বাস্থ্য কর্তাটি।  

মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডা. প্রদীপ ব্যাস বলেন, জেনোম সিকোয়েন্সের জন্য ওই ব্যক্তির নমুনা পাঠানো হয়েছে। ওই পরীক্ষাতেই বোঝা যাবে যে, তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত কি না।

ভারতে প্রথম থেকেই করোনার সবচেয়ে বেশি প্রকোপ মুম্বাইতে। তাই আগেভাগে সতর্ক হচ্ছে তারা। মুম্বাইয়ের মেয়র জানিয়ে দিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মুম্বাইতে কেউ এলে কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক। কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় কোভিড ধরা পড়লে জেনোম সিকোয়েন্সিং করাতেই হবে। অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের প্রজাতি, জিনগত তথ্য নির্ণয়ের পরীক্ষা করাতেই হবে।

ফলে ভারত সরকারকে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন। তাই আর ঝুঁকি নিতে নারাজ নরেন্দ্র মোদী সরকার। আগে থেকেই জারি করা হয়েছে সতর্কতা।  

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে রোববার (২৮ নভেম্বর) রাত থেকেই প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের আগের ১৪ দিনের ট্রাভেল হিস্ট্রি জমা করতে হবে। অর্থাৎ ভারতে আসার আগের ১৪ দিন কোথায় কোথায় গেছেন, তা জানাতে হবে। পাশাপাশি আগের মতোই কোভিড নেগেটিভ রিপোর্টও বাধ্যতামূলক।  

নতুন গাইডলাইন অনুসারে, যেসব দেশে ওমিক্রনের সন্ধান মিলেছে সেসব দেশের শুধু কোভিড নেগেটিভ রিপোর্টেই হবে না। সাত দিনের কোয়ারেন্টিনও বাধ্যতমূলক। ১ ডিসেম্বর থেকে ভারতে চালু হচ্ছে এই নতুন নিয়ম।

যদিও ভারতে করোনা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এখনই উদ্বেগ বা অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, টিকাকরণ পদ্ধতি বাড়ানো, নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার এবং বদ্ধ ঘরে জমায়েত—এসব নিয়মগুলো বজায় রাখলে অনেকটাই মোকাবিলা করা যাবে করোনার নতুন প্রজাতির সঙ্গে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, ২৯ নভেম্বর ২০২১
ভিএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।