ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আগরতলায় ফুল চাষ বিষয়ক কর্মশালা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২১
আগরতলায় ফুল চাষ বিষয়ক কর্মশালা শুরু

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যে প্রথমবারের মতো শুরু হলো ফুল চাষ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

বুধবার (১১ আগস্ট) আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার ফল ও উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রে কর্মশালার সূচনা করেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়।

‘বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ এবং চাষ পরবর্তী পর্যায়ে এর বিপণন ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এই কর্মশালার উদ্যোক্তা যৌথভাবে কৃষি কলেজ এবং উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ বিভাগ।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলার ফিসারি কলেজের ডিন অধ্যাপক আর কে সাহা, কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ টি কে মৈত্র, উদ্যান এবং ভূমি সংরক্ষণ বিভাগের অধিকর্তা পি বি জমাতিয়া, উপ অধিকর্তা ড. রাজীব ঘোষ প্রমুখ। কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন যুগ্ম গবেষণা অধিকর্তা ড. সমীর কুমার সামন্ত, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্প বিজ্ঞান এবং ভূমি চিত্রায়ন বিভাগের উদ্যান বিজ্ঞান অনুষদ ড. তাপস কুমার চৌধুরী।

অনুষ্ঠান মঞ্চে কৃষি কলেজের তরফে কাজে সাফল্যের জন্য উদ্যান এবং ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ড. রাজীব ঘোষকে সংবর্ধিত করা হয়। সংবর্ধনা স্মারক মন্ত্রী তার হাতে তুলে দেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের ৬৫ শতাংশের বেশি মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমান সরকার কৃষি এবং কৃষকদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা দিয়েছেন ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে লক্ষ্যে রেখে ত্রিপুরা সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু সরকারি প্রকল্পগুলোকে কৃষকদের কাছে তুলে দিয়ে দায়িত্ব শেষ নয়, এই প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখছে বর্তমান সরকার।

কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ টি কে মৈত্র বলেন, বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের পাশাপাশি এগুলিকে শ্রেণিবিভক্ত করে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান করার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। যেমন অনেক সময় অধিক পরিমাণ ফুল উৎপাদন হয়ে গেলে এগুলোকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ অথবা এই ফুল দিয়ে অন্য সব সামগ্রী তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থাৎ ফুলের ভ্যালু এডিশন করতে হবে।

আগরতলার মৎস্য কলেজের ডিন অধ্যাপক আর কে সাহা বলেন, ফুল চাষের জন্য রাজ্যের কোন জেলা কী ধরনের ফুল চাষের উপযোগী তা আগে গবেষণার মাধ্যমে চিহ্নিত করতে হবে। তাহলে অধিক পরিমাণে ফুল চাষ করা সম্ভব হবে, যা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে এবং পরিবহন ও বিপণনের কাজেও অনেক সুবিধা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২১
এসসিএন/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।