ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২, ০৯ মে ২০২৫, ১১ জিলকদ ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মৎস্য চাষে জুমিয়ার ভাগ্য বদল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:২৩, অক্টোবর ২৯, ২০১৬
মৎস্য চাষে জুমিয়ার ভাগ্য বদল  ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ত্রিপুরা (আগরতলা): মাছ চাষ করে দরিদ্র জুমিয়া থেকে এখন লাখপতি ত্রিপুরার উত্তর জেলার বাসিন্দা উপজাতি তরুণ নবদ্বীপ রিয়াং। তার সাফল্যে এখন অনুপ্রাণিত হয়ে মাছ চাষে যুক্ত হচ্ছেন আরও অনেকে।



পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিজোরাম ঘেঁষা ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর জেলার দামছড়া ব্লকের অন্তর্গত পাহাড়ি গ্রাম পিপলাছড়া। গ্রামের ১০০ শতাংশ মানুষই উপজাতি।
বেশীর ভাগই দ‍ারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করেন। তাদের জীবিকা বলতে জুমচাষ, জুমের উৎপাদীয় ফসলে বছরের অর্ধেক সময়ই কাটে না। তাই সময় সময় দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালান তারা।

টিলা জমির পাশাপাশি নবদ্বীপ রিয়াং-এর কিছু লুঙ্গা জমিও রয়েছে। গত আট বছর আগে হঠাৎ তিনি এই লুঙ্গা (দুই টিলার মাঝের নিচু জমি) জমিকে সামান্য সংস্কার করে মাছ চাষের কাজে লাগান।

স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় তাতে মাছ চাষ শুরু করেন নবদ্বীপ। পাশাপাশি মৎস্য দফতর থেকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন।

প্রশিক্ষণ শেষে তাকে মৎস্য দফতর থেকে নানা প্রজাতির মাছের পোনাও দেওয়া হয়। মূলত এরপরই নবদ্বীপ রিয়াংয়ের জীবনের মোড় ঘুরে যায়।

শুধু এ বছরই উৎপাদিত মাছ ও মাছের রেণু বিক্রি করে ১০লাখ রুপি উপার্জন করেছেন তিনি।  

দারিদ্র্য ঘুচিয়ে আজ স্বাবলম্বী। তিন ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে নবদ্বীপ রিয়াং সুখেই আছেন। তার এই সাফল্য দেখে এলাকার অনেক জুমিয়া মাছ চাষে এগিয়ে এসেছেন ও সফলতার মুখ দেখছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৬।
এসসিএন/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।