ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

৫ শতাংশ ভোটের উপর নির্ভর করবে পশ্চিমবঙ্গের ফলাফল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৬
৫ শতাংশ ভোটের উপর নির্ভর করবে পশ্চিমবঙ্গের ফলাফল

কলকাতা: মাত্রা পাঁচ শতাংশ ভোটের ভিন্ন বিন্যাসে পাল্টে যেতে পারে পশ্চিমবঙ্গের ভোটের ফলাফল। এমনটাই মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন বিশ্লেষকরা।

তাদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের মাত্র পাঁচ শতাংশ ভোট পাল্টে দিতে পারে গোটা ফলাফলের চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে প্রকাশিত আগাম সমীক্ষাগুলো বিশ্লেষণ করলেও দেখা যাচ্ছে, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কড়া টক্কর নিতে চলেছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোট।

আর এ টক্করে চার থেকে পাঁচ শতাংশ ভোট জয়-পরাজয় নির্ধারণ করে দিতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গের ভোটের চারিত্রিক দিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রতিটি দলের কিছু নির্দিষ্ট ভোটার রয়েছেন। যেটা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আছে, তেমনই আছে বামফ্রন্টের। কংগ্রেস ও বিজেপি’র ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই।

এ ভোটারদের বাদ দিলে যে অংশটি থাকে তা পরিবর্তনশীল ভোট। সাময়িক পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে এই ভোটাররা ভোট দিয়ে থাকেন। বিগত নির্বাচনগুলোর দিকে চোখ রাখলে দেখা যায়, এই পরিবর্তনশীল ভোটাররাই নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করেছেন।

২০১১ সালের দলগত ভোটের গড়ে দেখা ‍যায়, ওই বছর প্রায় ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সালে বিধানসভায় বামফ্রন্ট পেয়েছিল ৪১ শতাংশ ভোট। ঠিক এর আগের বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠন করেছিল বামফ্রন্ট।

মনে রাখতে হবে কংগ্রেস ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গঠন করেছিল। এ সময় বিজেপি’র ভোট ছিল কম-বেশি ৬ শতাংশ। পরিবর্তনশীল ভোটের সংখ্যা বিশ্লেষণ করতে গেলে দেখা যাবে, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি।

২০১৬ সালে অবস্থা পাল্টেছে। কংগ্রেস ও বামরা একই ছাতার নিচে এসে দাঁড়িয়েছেন। অন্যদিকে বেশ কিছুটা স্তিমিত মোদি হওয়া। ফলে বিজেপি’র পক্ষে ১৩ শতাংশ ভোট নাও পড়তে পারে। এই অঙ্কের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, যে ৫ শতাংশ ভোট এদিক-ওদিক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে সেই ফলাফলের ক্ষেত্রে বড় ব্যবধান সৃষ্টি করতে পারে।

যদিও সবক’টি রাজনৈতিক দলই ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট বাড়বে বলে আশা করছে। কিন্তু কার দাবি কতোটা বাস্তব তা দেখা যাবে ফলাফলের দিন। সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৯ মে পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৬
ভি.এস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।