ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরা বাণিজ্য মেলায় জামদানির স্টলে দর্শনার্থীর ভিড়

সুদীপ চন্দ্র নাথ, আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৬
ত্রিপুরা বাণিজ্য মেলায় জামদানির স্টলে দর্শনার্থীর ভিড় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আগরতলা: ত্রিপুরায় শুরু হয়েছে ২৬তম শিল্প ও বাণিজ্য মেলা। আর এ বছর মেলার  প্রধান আকর্ষণ বাংলাদেশি জামদানি শাড়ি।



সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই জামদানির স্টলে ক্রেতা দর্শনাথীদের ভিড় লক্ষ্যণীয়।  

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিনই নারী-পুরুষ ভিড় জমাচ্ছেন এই সকল শাড়ির স্টলগুলোতে। এবছর মেলায় সব মিলিয়ে জামদানি শাড়ির মোট ১০টি স্টল রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগ বাংলাদেশি প্যাভিলিয়ন।

মূলত সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মেলায় ভিড় থাকে বলে জানান বাংলাদেশ থেকে আশা শাড়ি ব্যবসায়ী মোহম্মদ আফতাব উদ্দিন। তবে তার মতে জামদানির স্টলগুলোতে উপচে পড়া ভিড় হলেও বিক্রি সেরকম হচ্ছে না। বেশির ভাগ লোক শাড়ি দেখতে আসছেন বলেও জানান তিনি। তবে দৈনিক ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার রুপির বিক্রি হচ্ছে।

শনি ও রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, রোববার ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার রুপির শাড়ি বিক্রি হয় বলেও বাংলানিউজকে জানান আফতাব উদ্দিন।

বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের বাইরে স্টল দিয়েছে ঢাকার মম্ জামদানি হাউস। এই দোকানটিতে ন্যূনতম ১হাজার রুপি থেকে ১৪হাজার রুপি দামের শাড়ি রয়েছে। মম্ জামদামি হাউসের হাজী আব্দুল লতিফ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি কিছুটা কম হচ্ছে।

এবছর মেলায় শাড়ি বিক্রির পরিমাণ কিছুটা কমে যাওয়ার কারণ হল এই সময় আগরতলার অন্য প্রান্তে চলছে হস্ত-তাঁত ও কারুশিল্প মেলা। এই মেলার জন্য শিল্প ও বাণিজ্য মেলার লোকজন কম আসছেন যোগ করেন হাজী আব্দুল লতিফ। যে কারণে বিক্রি একটু কম হচ্ছে।  

তবে প্রতিবার মেলার শেষ দিকে কেনাকাটার ধ‍ুম পড়ে, আর ২৬তম ত্রিপুরা শিল্প ও বাণিজ্য মেলা শেষ হতে হাতে আরও দুইদিন বাকি আছে। মেলার শেষ দুই দিনে হয়তো জামদানি শাড়ি বিক্রেতাদের এই মন্দা কেটে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬
বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।