ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

এবার ‘ইন্ডিয়া’ ছাড়ল ‘জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
এবার ‘ইন্ডিয়া’ ছাড়ল ‘জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স’

কলকাতা: ভারতের বিজেপি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ায় আবারো বড় ধাক্কা। ২০২৪ এর সংসদ নির্বাচনে (লোকসভা ভোট) একাই লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটের অন্যতম শরিক দল জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দলটির সভাপতি তথা ওই রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে এ কথা জানান।

এমনকি আগামীতে বিজেপি জোট এনডিএর সঙ্গে পুনরায় হাত মেলাতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি। অতীতে অটল বিহারি বাজপেয়ি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এনডিএ-তে ছিল ন্যাশনাল কনফারেন্স।

আবদুল্লা বলেন, আমরা জোটের (ইন্ডিয়া) পক্ষে ছিলাম। কিন্তু জোটের শরিকরা সঠিক পথে চলছে না। আসন্ন ভোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আমাদের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। ফলে আমি পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই যে, এবারের সংসদ নির্বাচনে ন্যাশনাল কনফারেন্স তার নিজের শক্তিতে এককভাবে লড়বে। এ নিয়ে আর কোনো দ্বিমত নেই।

তাহলে কি বিজেপি জোট এনডিএতে দেখা যাবে, উত্তরে তিনি বলেন, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। দেখা যাক। আমাদের লক্ষ্য দেশকে মজবুত করা।

গত সংসদ নির্বাচনে (২০১৯) জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিজেপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স তিনটি করে আসনে জয়লাভ করেছিল।

ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এনডিএ জোটে ফিরেছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের দল জেডিইউ।  
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশে একলা চলো নীতি নিয়েছে মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টি। আর এবার সেই পথেই হাঁটল ন্যাশনাল কনফারেন্স।

একইভাবে পাঞ্জাব ও চণ্ডীগড়ের মতো রাজ্যগুলোয় একা লড়াই করতে চায় আম আদমি পার্টি (আপ)।

তবে দিল্লিতে সমীকরণটা কিছুটা বদলেছেন আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির সাতটি সংসদীয় আসনের মধ্যে কংগ্রেসের জন্য একটি আসন ছেড়েছে আপ।

যদিও জাতীয় কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে জোটের বাকি শরিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছে।

২০২৪ সালে ভারতের লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে জোট বেধেছিল বিজেপিবিরোধী আঞ্চলিক শক্তিগুলো, যা নিয়ে গত বছরের ২৩ জুন বিহার রাজ্যের পাটনায় বৈঠকও হয়েছিল। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, রাহুল গান্ধীসহ মোট সহ ১৭ রাজনৈতিক দলের প্রধানরা।  

এরপর ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে সোনিয়া গান্ধীর ডাকা দ্বিতীয় বৈঠকে সবমিলিয়ে ২৭ দল যুক্ত হয়। সেখানেই ঠিক হয় ভারতের নামেই নতুন জোটের নাম হবে ‘ইন্ডিয়া’। পুরো নাম- ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স।

বিজেপিকে সরাতে আট মাস আগে যে ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছিল, তাতে ভাঙন ধরেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
ভিএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।