ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আসামে বাঙালি সংস্কৃতির ওপর আক্রমণে প্রতিবাদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৩
আসামে বাঙালি সংস্কৃতির ওপর আক্রমণে প্রতিবাদ

আগরতলা (ত্রিপুরা): উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামে বাঙালি সংস্কৃতি ওপর আক্রমণে প্রতিবাদ জানিয়েছে আমরা বাঙালি দল।

রোববার (৫ নভেম্বর) রাজ্যের আমরা বাঙালি দলের ত্রিপুরা শাখার তরফ থেকে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিকেলে আগরতলায় দলটির ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন ও অবিলম্বে এ ধরনের হামলার ঘটনা বন্ধের দাবি জানান।

সম্প্রতি আসামে বাঙালি সংস্কৃতি ওপর আক্রমণের বিবরণ দিয়ে আমরা বাঙালি দলের আহ্বায়ক গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল বলেন, আসমের বুকে আবারও বাঙালি বিদ্বেষী হিংসাত্মক কার্যকলাপ নতুনভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এর নেতৃত্বে রয়েছে ‘উলফা’ ও ‘লাচিত সেনা’ নামে দুটি উগ্রবাদী সংগঠন। শারদীয় দুর্গোৎসবের আগেই রাজ্যের বরাকসহ সমগ্র আসাম রাজ্য জুড়ে ধর্মপ্রাণ বাঙালিদের উদ্দেশ্যে উগ্রবাদীদের নির্দেশ ছিল, বাঙালিরা যাতে পূজামণ্ডপগুলোতে বাংলা ভাষায় লেখা কোনো সাইনবোর্ড ব্যবহার না করে। এমনকি কোনো বাংলা গান বা সংস্কৃতির চর্চা না করে। কারণ আসম শুধু অহমিয়াদের। আসামে থাকতে হলে বাঙালিদের নিজস্ব ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ভুলে অহমিয়া ভাষা, কৃষ্টি-সংস্কৃতিকেই মেনে নিতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র আসাম জুড়ে দুর্গাপূজা মণ্ডপগুলোর ওপর উলফা ও লাচিত সেনার সদস্যরা হামলা করেন ও বাংলায় লেখা সব ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এসব ঘটনায় আসাম সরকার জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি।

তিনি বলেন, গোটা আসাম জুড়ে বাঙালিরা আতঙ্কে রয়েছেন। আমরা বাঙালি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে আসামের বাঙালি বিদ্বেষী উগ্রবাদী সংগঠনের কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে আসাম সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাদের আবেদন অবিলম্বে বাঙালি জাতি বিদ্বেষী হিংসাত্মক কার্যকলাপে যুক্ত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২৩
এসসিএন/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।