ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় ভাক্কা পিঠার চাহিদা তুঙ্গে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
কলকাতায় ভাক্কা পিঠার চাহিদা তুঙ্গে ভাক্কা পিঠা।

কলকাতা: শীতের মৌসুম মানেই নিত্যনতুন বাড়তি খাওয়া দাওয়া। আর তা বাড়িতে হোক বা বাইরে, যেখানেই হোক না কেনো, শীতের খাদ্য তালিকায় বাঙালির পাতে পিঠা থাকবেই।

শীত পড়তে অনেক বাঙালির বাড়িতে নানান স্বাদের পিঠা তৈরি হয়ে থাকে। তবে অনেকে আবার সময়ের অভাবে পিঠা তৈরি করতে পারেন না। তাদের জন্য রয়েছে কেনা পিঠা। ফুটপাতে পিঠা বিক্রি চল কলকাতায় নেই। দুধ পুলির মতো দুই-এক ধরনের পিঠা মেলে শহরের মিষ্টি বিক্রেতার কাছে।



কিন্তু বাংলায় শীত পড়তেই কয়েকটি জেলায় দেখা মেলে নানান ধাঁচের, নানান স্বাদের পিঠা। আর শীতের মৌসুম শুরু হতেই মালদহ জেলার শহরের বিভিন্ন সড়কের পাশে শুরু হয়েছে ভাপা পিঠার বেচাকেনা। পিঠাপ্রেমীরা এই পিঠার স্বাদ নিতে বিকেল থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। ভাপা পিঠার টানে অনেকে যাচ্ছেন দূর-দুরান্ত থেকে। মালদহে ওই পিঠা ‘ভাক্কা পিঠা’ নামেই পরিচিত।



জানা যায়, বছর তিনেক ধরে মালদহ বাসিন্দাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভাক্কা পিঠা। একবাক্যে বিক্রেতারা স্বীকার করে নিয়েছেন, ওই পিঠা আবিষ্কারে বাংলা তথা মালদহ জেলার কোনো কৃতিত্ব নেই। এই পিঠার বসতভিটা বাংলাদেশ। সেখানেই এই পিঠার ব্যাপক চাহিদা। শীত এলেই সারা বাংলাদেশে এর দেখা মেলে।

বাংলাদেশের সেই ভাপা পিঠা মালদহে ভাক্কা পিঠা নামে প্রচলন। বিক্রাতের মতে মালদহ শহরে এই পিঠার বিক্রি ছিল না। তবে গত বছর থেকে মালদহে এই পিঠা বিক্রি শুরু হয়েছে।  
পিঠা বিক্রেতা সেফালি হালদার বলেন, ছেলে মোবাইল দেখে এই তৈরির আইডিয়াটা দেয়। শুরু করি, আমাকে দেখে দু’একজন শুরু করেন। এবছর চাহিদা ভালো।



এখানকার বিক্রেতারা মূলত, বছরের অন্যান্য সময়ে কেউ আখের রস, কেউ ফুচকা বা কেউ আবার আইসক্রিম বা ঠাণ্ডা পানীয় বিক্রি করেন। কিন্তু শীত পড়তে শুরু করেন ভাক্কা পিঠা বিক্রি। বড় কোন দোকান নয়, মালদহ শহরের প্রায় প্রতিটি রাস্তার ধারে বা বাজারে ছোট ছোট দোকান পাওয়া যায় ধোঁয়া ওঠা ভাক্কা পিঠা।



দাম সাইজ অনুযায়ী, ১০ রুপি থেকে ২০ রুপি। তবে এখানকার বিক্রেতারা পিঠাতে নারিকেল এবং গুড়ের সঙ্গে ক্ষীর সংযোজন ঘটিয়েছেন। তারপর নিজেদের মতো তৈরি করে বিক্রি করছেন। এখন মালদহ শহরে এই পিঠার ব্যাপক বিক্রি। বিকেল গড়াতেই শুরু হয় বিক্রি। এখন গোটা মালদহ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় অসংখ্য দোকান তৈরি হয়েছে ভাক্কা পিঠার।  

শীত যত বাড়বে, এই পিঠার চাহিদাও ততই বাড়বে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।