ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশের উন্নয়ন দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী: হুইপ আবু সাঈদ

মিনহাজুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
দেশের উন্নয়ন দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী: হুইপ আবু সাঈদ হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে উন্নয়ন করেছেন, তিনি এখন তা নিজের চোখে দেখতে চান। সামনে জাতীয় নির্বাচন, তিনি আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে চান।

 

সম্প্রতি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, সংগত কারণেই বাংলাদেশে রাজনীতিতে আমরা কেন্দ্রীয় নেতারাই বেশি জনসভায় যাই, তবে আমরা যাওয়া আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাওয়া একরকম নয়, মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে ভালোবাসেন, তিনি মানুষের কাছে থাকতেই পছন্দ করেন।

 

প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম সফরের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে আসবেন, এটা পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি। বিএনপি করেছে বিভাগীয় মহাসভাবেশ। আর আমাদের এটি একটি জেলার জনসভা। বিভাগীয় জনসভার সঙ্গে একটি জেলার জনসভার পাল্টা কর্মসূচি হয় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনার কারণে দীর্ঘদিন পাবলিক মিটিংয়ে যেতে পারেননি। তিনি সবসময় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করেন। এখন করোনার প্রকোপ কমার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাইরে জনসভা করছেন।  প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেন, আমি কয়দিন বাঁচব, দেশের জন্য এতো কাজ করলাম। ঘুরে ঘুরে একটু দেখব না? তিনি শুধু চট্টগ্রাম নয় বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা সফর করবেন।  

প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের তিন সাংগঠনিক জেলার নেতাদের কী বার্তা দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিন সাংগঠনিক জেলার মধ্যে অভিজ্ঞ নেতা রয়েছেন। আমরা মূলত এসেছি, তিন সাংগঠনিক জেলা হলেও প্রশাসনিক একটি জেলায়। তাদের মধ্যে যাতে সমন্বয়ের অভাব না ঘটে, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা চট্টগ্রামে কোনো নির্দেশনা দিতে আসেনি। রাজনীতির নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে, যাতে তারা নিজেরাই যথেষ্ট। প্রত্যেকেই অভিজ্ঞ নেতা। সবার কাছে আবেদন জানিয়েছি, আমাদের জনসভাটি শুধু চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক জনসভা, তাই যাতে কোনো ধরনের গাফিলতি না হয়। এ জনসভাকে আমরা বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত করতে চাই।  

এই জনসভার পর আগামী নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ততার কারণে চট্টগ্রামে আর নাও আসতে পারেন। তাই এই জনসভার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে যেন নির্বাচনী আমেজ চলে আসে। আগামী দিনে আমাদের নেতাকর্মীরা জনমুখী হয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য কাজ করেন, এই বার্তাটি দেওয়ার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রামে আসা।

চট্টগ্রামের সংসদীয় ১৬ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচিত করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বপন বলেন, নানা ব্যস্তার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আর চট্টগ্রামে না আসাও হতে পারে। তবে আসবেন না এই কথা এখনই বলা যাবে না। সেই কারণে এ জনসভাকে নির্বাচনী জনসভা হিসেবেই মনে করছি। তবে এখনও সংসদীয় আসনে মনোনয়ন দেওয়ার মতো অবস্থা আসেনি। মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব কৌশল আছে। যদি স্থানীয় সংসদ সদস্যদের জনপ্রিয়তা না থাকে বা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যান। তাহলে তার চেয়ে যদি যোগ্যপ্রার্থী থাকে, সে হিসেবে পরিবর্তন হতে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।