ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় বর্ণিল উপস্থিতির প্রস্তুতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় বর্ণিল উপস্থিতির প্রস্তুতি ...

চট্টগ্রাম: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের নভেম্বরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।

আওয়ামী লীগ নির্বাচনের এক বছর আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবেশের আয়োজন করেছে। বিপুল লোকসমাগম ঘটিয়ে সেখানে দলের শক্তি ও জনসমর্থনের প্রমাণ দেখাতে চায় ক্ষমতাসীনরা।

বিজয়ের মাসের এ জনসমাবেশ ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। চট্টগ্রামে সাড়ে চার বছর পূর্বের এক সমাবেশের পর নগরে ফের কোনও দলীয় সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। তাই দলীয় সমর্থকদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মহানগর-উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে এ জনসভা। ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড থেকে দুই লাখের বেশি মানুষ সমাবেশে যোগদান করবে। এক একটি ওয়ার্ড থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ আসবে। এছাড়া যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, তাঁতী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সমর্থকরা যোগ দিবেন জনসভায়। পলোগ্রাউন্ডের বাইরে কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাগানো হবে মাইক।

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম  বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে কর্মী-সমর্থকরা সমাবেশে যোগদান করবে। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যরা তাদের সমন্বয় করবেন। উত্তর চট্টগ্রামের ৭ উপজেলা থেকে জনসভায় যোগ দিতে বাস-ট্রাক ভাড়া করা হচ্ছে। সন্দ্বীপ থেকে লঞ্চ, স্পিড বোটে সমর্থকরা আসবে। জনসভার দিনও বিশেষ কিছু লঞ্চ চলাচল করবে।  

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, দক্ষিণ জেলার ৮ উপজেলা থেকে দেড় লাখ মানুষ সমাবেশে যোগদান করবে। শহরের বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার, আবাসিক হোটেলে তারা রাতযাপন করবেন। তাদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।  

জানা গেছে, বর্ণিল উপস্থিতির জন্য আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলার সমর্থকরা সবুজ রঙের, পটিয়ার সমর্থকরা লাল রঙের, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সমর্থকরা হলুদ রঙের, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সমর্থকরা সাদা রঙের, বাঁশখালীর সমর্থকরা নীল রঙের এবং চন্দনাইশের সমর্থকরা গোলাপি ও চকলেট রঙের গেঞ্জি পরিধান করে সমাবেশে যোগ দিবেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বিপ্লবতীর্থ চট্টগ্রাম সবকিছুতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ইতিহাসের অংশ হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের গৌরবময় ভূমিকা আছে। পাকিস্তান কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মুক্ত হয়ে ফিরে এসে ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে এক বিশাল জনসমুদ্রে চট্টগ্রামবাসীকে সম্ভাষণ জানাতে এসেছিলেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ ডিসেম্বর এই মাঠে ঐতিহাসিক বিজয় দিবসকে সামনে রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির দিক নির্দেশনা দেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।