ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কৃষি জমি অনাবাদি, সাড়ে ৩ একর জমি খাস করেছে উপজেলা প্রশাসন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
কৃষি জমি অনাবাদি, সাড়ে ৩ একর জমি খাস করেছে উপজেলা প্রশাসন ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় পর পর তিন বছর কৃষি জমি আবাদ না করায় ৩ একর ৫১ শতক জায়গা সরকারি খাস খতিয়ানে নিয়ে আসা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে একযোগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কৃষি জমি অনাবাদি না রাখা সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন এ জমিগুলো খাস করা হয়েছে।

জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ৯২ (১) (গ)  ধারা অনুযায়ী কোনো কৃষিজমি পরপর তিন বছর অনাবাদি রাখা হলে তা খাস করার বিধান রাখা হয়েছে।

এ ধারার আলোকে উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) এর আগে বিভিন্ন সময়ে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সর্বস্তরের সব ভূমি মালিককেএ বিষয়ে অবহিত করেন। পরে বৃহস্পতিবার উপজেলায় একযোগে অভিযান পরিচালনা করে টিসি হাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন ৭৭ শতক, কাউখালী  ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন ৭৪ শতক, ঘাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন ১ একর, শিলক ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন ১ একরসহ মোট ৩ একর ৫১ শতক অনাবাদি জমি খাস খতিয়ানভুক্তির কার্যক্রম গ্রহণ করে। এসব জমিতে লাল পাতাকা উত্তোলন করে গণ-বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জামশেদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, পুঁজিবাদের এ যুগে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। চলমান বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব সব দেশেই পড়েছে। আর এ সংকট মোকাবেলায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার নির্দেশনা দিচ্ছেন। ইতোপূর্বে সবাইকে বিভিন্নভাবে এ বিষয়ে অবহিত করা হলেও জমি অনাবাদি রাখায় উপজেলা প্রশাসন ও রাজস্ব প্রশাসনের উদ্যোগে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।