চট্টগ্রাম: দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে চাকরি হারিয়েছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন।
চাকরি জীবনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষ না করা এ কর্মকর্তাকে শেষ পর্যন্ত আপোষ করতে হলো ক্ষুধার কাছে।
সম্প্রতি এ দুদক কর্মকর্তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে তিনি বলেছেন, চাকরি হারানোর পর অনেকের কাছে চাকরি চেয়েছেন তিনি। যোগ্যতা থাকা স্বত্ত্বেও দুদকের ভয়ে চাকরি দিতে চাচ্ছে না কোনো প্রতিষ্ঠান। তাই সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে ভাইয়ের দোকানের হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে একটি চাকরির আবেদনও করেন তিনি।
শরীফ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত বুধবার পর্যন্ত দেশের ৩৫টি বড় বড় কোম্পানি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। দেশের গণমাধ্যম আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের কারণে আজ আমার কাছে এত চাকরির প্রস্তাব এসেছে। আমি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ। মানুষের যে পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছি, তা কোনোভাবেই পরিশোধ করার মতো নয়’।
প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে তিন বছর দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন শরীফ উদ্দিন। সে সময় এনআইডি সার্ভার ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা, কর্ণফুলী গ্যাসের দুর্নীতি, কক্সবাজারে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে অনিয়মের তদন্ত করেন দুদক কর্মকর্তা শরীফ। একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়ায় একাধিক মামলা হয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এর পরপর তাঁকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়। এর আট মাসের মাথায় চাকরি থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় তাঁকে। মামলা করা হয় অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
এমআর/টিসি