চট্টগ্রাম: নগরীর জিইসিস্থ সানমার ওশান সিটির একটি দোকান থেকে ১৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দোকানের মালিক আতিকুর রহমান বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেছেন।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তিনি এ মামলা করেন।
এতে অভিযুক্ত দুজন হলেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সাঙ্গিশ্বর এলাকার নজির আহম্মেদের ছেলে সফিউল ইসলাম (২৮) ও তার ছোট ভাই নাঈমুল ইসলাম (২২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন মজুমদার।
তিনি বলেন, দোকানের মালামালসহ একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আড়াই বছর ধরে সানমারের ‘পাঞ্জাবি ওয়ার্ল্ড’দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিল সফিউল। মালিকানা পরিবর্তন এবং দোকানের চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় দোকানটি ছেড়ে দেয় বর্তমান মালিক। গত ২৮ সেপ্টেম্বর দোকানের হিসাব থেকে উদ্বৃত্ত তিন লাখ ১০ হাজার টাকা বর্তমান মালিকের একাউন্টে পাঠানোর কথা ছিল তার। কিন্তু মালিকের একাউন্টে না দিয়ে নিজের একাউন্টে জমা করে নেয় সে। পরবর্তীতে দোকানের ক্যাশে থাকা ৯৪ হাজার ৭৫০ টাকা এবং এক হাজার ৮০৬টি পাঞ্জাবি (যার বাজার মূল্য ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৬৫০ টাকা) নিয়ে পালিয়ে গেছে। এতে সবমিলিয়ে ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪০০ টাকার খোয়া গেছে।
মামলার বাদি আতিকুর রহমান বলেন, ওই সময় অভিযুক্তরা দোকানের নামে করা চেকবই ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও নিয়ে গেছে। পরে বিষয়টি তাদের বাবাকে জানালে তিনি কাগজপত্রসহ মালামাল ও টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাঈমুল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমার বড়ভাই (সফিউল) বিস্তারিত জানাতে পারবেন।
পরে সফিউল ইসলাম বলেন, তার সঙ্গে আমার একটি চেকের মামলা চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে সামাজিকভাবে একটি বিচার হয়েছিল। সে বিচার উনি (আতিকুর রহমান) মানেননি এবং আমাকে নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। এজন্য আমি তার বিরুদ্ধে ফেনীতে জিডি করেছি। যার প্রেক্ষিতে সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
এমআর/টিসি
