ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সমন্বিত উন্নয়নে মডেল জেলা পরিষদ গড়তে চান পেয়ারুল 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
সমন্বিত উন্নয়নে মডেল জেলা পরিষদ গড়তে চান পেয়ারুল  ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: সমন্বিত উন্নয়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদকে মডেল জেলা পরিষদে উন্নীত করতে সকলের সহযোগীতা চেয়েছেন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনীতি আমার জন্য ইবাদত। আওয়ামী লীগ করে এতটুকু এসেছি।

দলীয় নেত্রী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়ে যে আস্থা রেখেছেন তার প্রতিদান প্রতি মুহূর্তে দেবো। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদকে মডেল জেলা পরিষদে পরিণত করবো। প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে সমবণ্টনের ভিত্তিতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত করবো।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রামের উন্নয়নে পেয়ারুল ইসলামকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পেয়ারুল ইসলাম ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফটিকছড়ি সংসদীয় আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বারে বারে কারা নির্যাতিত এবং একাধিকবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও আপোষহীন, সাহসী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিণত হয়েছেন। আমার বিশ্বাস তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলে যোগ্যতা এবং দক্ষতার মাধ্যমে জেলা পরিষদের উন্নয়ন ঘটাবেন।
 
আ জ ম নাছির আরও বলেন, চট্টগ্রামের মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়নে রোডম্যাপ তৈরি করে প্রতিটি এলাকায় সুষম বণ্টন, সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘গ্রাম হবে শহর’ বাস্তবায়নে কাজ করবেন।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, পেয়ারুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা। স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়ে উত্তর চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাজিরহাট কলেজ ছাত্রসংসদের নির্বাচিত ভিপি ও চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ল’ স্টুডেন্টস ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচিত সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় গ্রুন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং নব্বইয়ের ছাত্র গণ আন্দোলনের ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।  

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক শাহ চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুণ, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এএইচএম জিয়াউদ্দিন,  চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য,   মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ হাসনী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাশ, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান এইচএম আবু তৈয়ব, ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরি, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা মনজুর মোরশেদ ফিরোজ,  আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য বেলাল নূরী, সাদাত আনোয়ার সাদী, উত্তর জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজীবুল আহসান সুমন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।