ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: মমিনুর রহমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: মমিনুর রহমান ...

চট্টগ্রাম: শান্তিপূর্ণ চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।  

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নগরের ষোলশহর এলজিইডি মিলনায়তনে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ধর্মীয় এবং সামাজিক বন্ধনকে এগিয়ে ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে সামাজিক সস্প্রীতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। বাংলাদেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের সম্প্রীতির রাষ্ট্র।

এই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অবশ্যই অব্যাহত থাকবে।

মমিনুর রহমান বলেন, গত বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে একটি নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞের খেলা শুরু হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আপনারা দেখেছেন গত দুর্গাপূজায়ও কুমিল্লায় পূজা মণ্ডপে সাজানো একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়, চট্টগ্রামেও বেশকিছু পূজামণ্ডপে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। আমরা যখনি এ ধরনের ঘটনা আঁচ করতে পেরেছি দ্রুত সেখানে হাজির হয়েছি। মোকাবিলা করেছি সামনে থেকে।

এ বছরও আমরা এ ধরনের খবর পাচ্ছি। আমরা তা কখনোই হতে দেব না। আমরা চট্টগ্রামের পরিবেশ পরিস্থিতি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেকোনো মূল্যে রক্ষা করবো। আমরা এখানে যারা আছি আমাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কেউ কোনো ঘটনা ঘটাতে পারবে না। চট্টগ্রামে যে চমৎকার সামপ্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে সেটি আমরা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করবো। গত বছর আমরা দেখেছি, যে এলাকার জনপ্রতিনিধি যতবেশি তৎপর সে এলাকায় কোনো ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশের কোনো এলাকায় যদি কোনো গুজব ঘটেও থাকে। চট্টগ্রামে যাতে এর কোনো প্রভাব না পড়ে।  

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, পারিবারিক সম্প্রীতির মাধ্যমেই তৈরি হয় সামাজিক সম্প্রীতি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্প্রতি যত বেশি মজবুত হবে সামাজিক সম্প্রীতি ততবেশি মজবুত হবে। জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। যা একদিনে পাইনি। তার ধারাবাহিক নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। বিভিন্ন সময় আমাদের সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চেয়েছে একটি কুচক্রী মহল। তাদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বিভিন্ন সময়ে অনেকে আমাদের সম্প্রীতি নষ্ট করতে চেয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে এটি সম্ভব হয়নি। আমাদের সঙ্গে মিশে অনেকেই সুন্দর সুন্দর কথা বলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাই। তাদের তালিকাও আমাদের আছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা খুব কঠোর অবস্থানে রয়েছি। পূজার অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া হবে না।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উপ পরিচালক (স্থানীয় সরকার) বদিউল আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ইলিয়াস চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেখা আলম, মহানগর ইউনিট কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধার মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার সারওয়ার কামাল, মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান, বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন, লোহাগাড়া উপজেলার বড় হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিজয় বড়ুয়া, আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম আল আজহারী, পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, বৌদ্ধ ধর্মীয় ট্রাস্টের ট্রাস্টি মিতুন বড়ুয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।