ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তিকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা মোকাবেলা করতে হবে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তিকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা মোকাবেলা করতে হবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।

চট্টগ্রাম: কেবল মণ্ডপে মণ্ডপে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করে সাম্প্রদায়িক ঘটনা রোধ করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি রাজপথে থেকে মোকাবেলা করলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।

 

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ হিন্দু ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার বর্ধিত সভায় প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার এসব কথা বলেন।  

পরিষদের জেলা সভাপতি শ্যামল কুমার পালিতের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার দেব ও সাংগঠনিক সম্পাদক কল্লোল সেনের সঞ্চালনায় সভার উদ্বোধন করেন পরিষদের সাবেক সভাপতি ও এসঅ্যান্ডডি মজুমদার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার মজুমদার।

 

প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জেএল ভৌমিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রিয়রঞ্জন দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল সরকার, সদস্য অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ ও বিপুল কান্তি দত্ত।  

বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলার সহ-সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ বৈষ্ণব, সহ-সভাপতি শ্রীনিবাস দাশ সাগর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পালিত, সদস্য অধ্যাপক শিপুল কুমার দে, রাউজান উপজেলার সভাপতি প্রিয়তোষ চৌধুরী, বোয়ালখালী উপজেলার সভাপতি সুনীল ঘোষ, আনোয়ারা উপজেলার সভাপতি সুগ্রীব মজুমদার দোলন, রাঙ্গুনিয়ার উপজেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট পংকজ কুমার চৌধুরী, মীরসরাই উপজেলার সভাপতি সুভাষ সরকার, চন্দনাইশ উপজেলার সভাপতি বলরাম চক্রবর্তী, লোহাগাড়া উপজেলার সভাপতি প্রসেনজিৎ পাল, পটিয়া উপজেলা সভাপতি রূপক শীল, কর্ণফুলী উপজেলার সভাপতি রূপেন চৌধুরী, সন্দ্বীপ উপজেলার সভাপতি মাধব চন্দ্র দাশ, ফটিকছড়ি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক কাজল শীল, ভুজপুর থানার সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ কুমার শীল, হাটহাজারী উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিমন মুহুরী, সাতকানিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চন আচার্য্য ও বাঁশখালী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ঝুন্টু কুমার দাশ।

বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘটিত সাম্প্রদায়িক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা না নিলে, বিচারের সম্মুখীন না করলে, জাতি এর থেকে পরিত্রাণ পাবে না। জাতীয় রাজস্ব বাজেটে বরাদ্দের ক্ষেত্রে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী এখনো বৈষম্যের শিকার। ধর্মীয় বৈষম্যের অবসান দরকার। আমরা বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ চাই।  

সভার শুরুতে শ্রীশ্রী চণ্ডী থেকে পাঠ করেন রূপা রায় চৌধুরী। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া উদযাপনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।