চট্টগ্রাম: চাষ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু জমিতে নেই পর্যাপ্ত পানি। এতে জমি ফেটে চৌচির, শুকিয়ে যাচ্ছে চারা।
সাধারণত জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে বীজতলায় বীজ বোনা হয়, শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে জমিতে রোপণ করা হয়। কৃষকেরাও বর্ষার বৃষ্টির আশায় বসে থাকেন। যাতে বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন চাষ সহজে করা যায়। কিন্তু আষাঢ় মাসে বৃষ্টি কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। পানির অভাবে গুমাই বিলে আমন চাষ হয়নি ব্যাপকভাবে। জমি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে, লালচে হয়ে আসছে সদ্য রোপণ করা ধানের চারা।
গুমাই বিলের কৃষক নূর আহমদ বলেন, সাধারণত বর্ষা মৌসুমে যে বৃষ্টি হয় তাতে আমাদের চাষাবাদ সহজ হয়ে যায়। এ মৌসুমে সেচের খরচও তেমন লাগে না। কিন্তু এবার তেমন বৃষ্টি হয়নি। যা হয়েছে তা নিয়ে মোটামুটি চারা লাগানো গেলেও বেশিরভাগ জমিতে এখন পানি নেই। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত।
আরেক কৃষক রফিক উল্লাহ বলেন, আমন চারা বড় হয় পর্যাপ্ত পানি থাকলে। চারার গোছা দেখে বলা যায়, এবার ফলন কেমন হতে পারে। কিন্তু এবারের চিত্র অন্যরকম। জমিতে পানি নেই। পুরো এলাকা চৌচির হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, পানির অভাবে অনেকে বীজতলা তৈরি করতে পারেননি। সে কারণে চাষাবাদও অনেক কম হয়েছে। এ সময়ে জমিতে পানি ভরপুর থাকার কথা। তেলের দাম বেড়েছে, সেচ দিয়ে চাষাবাদ করবো- তাও পারছি না।
রাঙ্গুনিয়া কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, এবছর রাঙ্গুনিয়ায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার ৩২০ হেক্টর। কিন্তু যে পরিস্থিতি এতে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন উপজেলার কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
রাঙ্গুনিয়া কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টি হলে কৃষকের সেচের খরচ কমে আসে। কিন্তু এ বছর আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় আমন চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেচের মাধ্যমে যাতে কৃষকরা জমিতে পানির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২২
এমআর/টিসি