চট্টগ্রাম: পর্যাপ্ত ঝড়-বৃষ্টি না হলেও কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েছেন নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা ও চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে পূর্ণিমায় জোয়ারের পানি সড়ক-বাসায় উঠে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন নিচু এলাকার মানুষ।
আবাসিক এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান আলী বাংলানিউজকে বলেন, ২০, ২১ ও ২৩ নম্বর সড়ক এসময়ে বেশি ডুবে যায়।
এদিকে রাস্তায় চলাচলরত গণপরিবহনও ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে আটকে গিয়ে পথচারীদের বিড়ম্বনায় ফেলছে। পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে কর্মজীবী ও শিক্ষার্থীদের। জোয়ারের পানি কমপক্ষে তিন ঘণ্টা থাকে। বেশি নিচু এলাকা থেকে পানি সরতে সময় লাগে ৫-৬ ঘণ্টা।
এদিকে নগরীর চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এলাকায় সড়ক ও অলিতে-গলিতে জমেছে হাঁটুপানি। এতে সাধারণ মানুষ পড়েন দুর্ভোগে। কোনো কোনো পণ্যের গুদামেও পানি ওঠে। পানি ঢুকে যায় দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাসাবাড়িতে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার কারণে জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। কখনও জোয়ারের পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৪০ মিটারের বেশি।
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ২০২১ সালে আগ্রাবাদ এলাকার সড়ক ৩ ফুট উঁচু করা হয়। তারপরও এবছর এখানকার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে খালগুলোর মুখে স্লুইসগেট নির্মাণ কাজ চলছে। এগুলো চালু হলে দুর্ভোগ থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২২
এমআর/টিসি