ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘সফলতা অর্জনের পরও চাকরিতে নেওয়া হচ্ছে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২২
‘সফলতা অর্জনের পরও চাকরিতে নেওয়া হচ্ছে না’ ...

চট্টগ্রাম: ডুরস ফর ইনক্লোসিভ সোসাইটি (ডিআইএস) এর বিভাগীয় শাখার উদ্বোধন, সাদাছড়ি বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম শিশু একাডেমিতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে সাদাছড়ি বিতরণ করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদ আহসান খালিদ বলেন, যাদের চোখ কান সবকিছু আছে, একজন পরিপূর্ণ মানুষ। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা।

আপনাদের কোথাও কোন অবহেলা করলে প্রতিবাদ করুন, মামলা করুন, রিট করুন। তাহলে আলোচনা হবে, সরকার জানবে৷ ব্যবস্থা নিবে, পরিবর্তন আসবে। আপনারা দয়া চাইবেন না৷ আপনার অধিকার আদায় করবেন। প্রতিবন্ধীতাকে দুর্বলতা হিসেবে দেখবেন না। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করুন।  

তিনি আরও বলেন, তামান্না নামের এক মেয়ে প্রতিবন্ধী কোটা ব্যবহার না করেই বিশ্বিবদ্যালয়ের ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন। নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েছেন। লুঙ্গি পড়লেই আমাকে ছোট লোক বলা হবে, এটা বৈষম্য। লুঙ্গি আমি কোথায় কখন পড়বো এটা আমার ব্যক্তি স্বাধীনতা। কক্সবাজারের একটি হোটেলের লবিতে হাঁটতে দেখে হোটেল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এক ব্যক্তিকে। কিন্ত কেন? এটা বৈষম্য। আন্দোলন ছাড়া, ভয়েস রেইচ ছাড়া কোনও কিছু পরিবর্তন সম্ভব না। যে কোনও পরিস্থিতি মনোবল শক্ত করে মোকাবিলা করতে হবে।

ডিআইএস চট্টগ্রাম বিভাগের কনভেনার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিনা আখতারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উৎস এর নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কামাল, ডিআইএস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম ফেরদৌস আলম।   

এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা বলেন, নানানভাবে আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাদের দাওয়াত দেয়, আমরা যাই। সেখানে আমাদের চাকরি দেওয়ার কথা বলে। পরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা আমাদের ঘুরায়। চাকরি তো দূরের কথা উল্টো হেনস্তার শিকার হই। বাসে-ট্রেনে টিকিট কাটতে গিয়ে বৈষম্যের শিকার হই। আমাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা। কিন্তু সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না, আমরা বঞ্চিত। নানান প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধীদের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসতে হবে৷ প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষিত করার বিকল্প নেই। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ হচ্ছে, কিন্তু কাজের মতো কাজ হচ্ছে না। আমাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। চাকরি পরীক্ষায় সফলতা অর্জনের পরও চাকরিতে নেওয়া হচ্ছে না৷ 

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২২
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।