চট্টগ্রাম: নগরের পাঁচলাইশ থানার মাদকের মামলায় সৈয়দ কাশেম (৩৬) নামে এক যুবককে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্ নেছার আদালত এই রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ কাশেম কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার গুদারবিল কালা মিয়ার বাড়ির মৃত কালা মিয়ার ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নগরের পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ হাউজিং দারুল কাউচার ভবনের সামন থেকে ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর সৈয়দ কাশেমকে আটক করে র্যাব-৭। এ সময় তার কাছ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-৭ এর তৎকালীন সুবেদার সৈয়দ মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ২০১৬ সালের ১৮ মে তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহেনুরের আদালত সৈয়দ কাশেমের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২ মাস কারাদণ্ড প্রদান করেন। সৈয়দ কাশেম আইনজীবীর মাধ্যমে পরবর্তীতে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করেন। আপিল নম্বর ৫১৮০/২০১৬।
২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশে রাসায়নিক পরীক্ষকের সাক্ষ্যগ্রহণসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সাক্ষ্য উপস্থাপনের জন্য পুনরায় বিচারের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করেন। পিবিআই রাসায়নিক পরীক্ষককে সাক্ষী করাসহ তদন্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র প্রদান করেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষে রাসায়নিক পরীক্ষকসহ আরও তিনজন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। গত ২৬ জুলাই যুক্তিতর্কের শুনানির সময় আসামি রায় পর্যন্ত জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি মুক্তিযোদ্ধা মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচলাইশ থানার মাদকের মামলায় সৈয়দ কাশেম নামে এক যুবককে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, পরে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২২
এমআই/টিসি