ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গবেষণা করুন, আর্থিক সমস্যা আমাদের জানান: চবি উপাচার্য 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
গবেষণা করুন, আর্থিক সমস্যা আমাদের জানান: চবি উপাচার্য  ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যায় গবেষণা। এ কাজ আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে।

আপনারা গবেষণা করুন, নতুন নতুন তত্ত্ব আবিষ্কার করুন। বড় বড় জার্নালে সেগুলো প্রকাশ করুন।
আর্থিক সমস্যায় পড়লে আমাদের জানাবেন। আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা করবো।

দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৫ শিক্ষার্থী এবং বিগত বছরে গবেষণায় অবদান রাখা চবি গবেষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

রোববার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে চবি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটি (সিইউআরএইচএস) এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।  

চবি শিক্ষার্থী কাবেরী দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পরিচালক ছিলেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কাজী তানভীর আহমেদ।  বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, আপনাদের এ অর্জনে আমরা গর্বিত। আমরা দেখেছি অধিকাংশ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নেতিবাচক শিরোনামে হচ্ছে। এ পরিচিতি যেমন আমাদের হতাশ করে, তেমনি আপনাদের মতো উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলো দেখে আমরা প্রাণ ফিরে পাই। আমি স্বপ্ন দেখি আপনারা যদি এভাবে এগিয়ে যান তাহলে কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিংয়ে প্রবেশ করতে পারবে।

ড. শিরীণ আখতার বলেন, আমরা দেখেছি জামাল নজরুল স্যারকে, যিনি দেশকে ভালোবেসে উন্নত জীবন ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। এ দেশের লাখো অসহায় মানুষ আপনাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে। আপনারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে জনগণের টাকায় পড়াশোনা করছেন। তাই পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান না কেন দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা ভুলবেন না। আপনাদের মতো তরুণরাই বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে সম্মানিত করবে।

ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরধারী গবেষণাপত্র প্রকাশক শিক্ষকরা হলেন- কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম ও ড. ফারাহ জাহান, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগের ড. তরিত কুমার বাউল, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বিভাগের অধ্যাপক মো. আতিয়ার রহমান, ফার্মেসি বিভাগের মো. গিয়াস উদ্দিন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. খাদিজা মিতু, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আফতাব উদ্দিন, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শান্ত বণিক, মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এসএম শরীফুজ্জামান।  

স্কোপাস ইনডেক্সড জার্নালে চবির শীর্ষ ৫ গবেষক হলেন- ফার্মেসি বিভাগের সাদ আহমেদ সামি, রসায়ন বিভাগের লাকি দে, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সজিব রুদ্র, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. আব্দুল কাইউম খান ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শাগুফতা মিজান এবং ফিশারিজ বিভাগের ইস্তিয়াক আহমেদ রুবি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের আবু তায়েব মঈন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
এমএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।