ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও ভোগান্তি নিরসনে চবি শিক্ষার্থীদের ৬ দফা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও ভোগান্তি নিরসনে চবি শিক্ষার্থীদের ৬ দফা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও ভোগান্তি নিরসনে ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম রেলওয়ের কাছে একটি স্বারকলিপি দিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার বরাবর এ স্বারকলিপি দেন চবি শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে পড়তে এসেছি। প্রতিটি ঈদ উৎসবসহ যেকোন সময়ে বাড়ি ফিরতে অন্যান্য যাত্রীদের মত শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

যাত্রীর তুলনায় আসন সীমিত, টিকেট সংকট, টিকেটের কালোবাজারি এখন বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়মিত চিত্র। এ পরিস্থিতিতে আমরা নিরুপায় হয়ে আপনার সম্মুখীন হয়েছি। এ সমস্যা নিরসনে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আপনার কাছে ছয়টি দাবী রাখছি।  

দাবীগুলো হচ্ছে- টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহজ ডট কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। হয়রানির ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধ করতে হবে। অনলাইনে কোটায় টিকেট বুক করা বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে অনলাইন-অফলাইনে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্ব সাধারণের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। ট্রেনের টিকেট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক মনিটর, শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেল সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে। ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া আমরা চবির শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ রেলওয়ের বছরের ৩৬৫ দিনের যাত্রী। শহর থেকে ক্যাম্পাসের দূরত্ব বেশী এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতমানের না হওয়ায় আমাদের যাতায়াতের প্রধান বাহন শাটল ট্রেন। এ শাটল ট্রেনের সমস্যা, ভোগান্তি দিনদিন বেড়েই চলেছে। সমস্যাগুলো নিরসনে আমাদের ৫টি দাবি রয়েছে- শাটল ট্রেনে বগি বাড়ানো। কমপক্ষে ১২টি বগির ব্যবস্থা করা। মালবাহী বগির পরিবর্তে যাত্রীবাহী বগি সংযুক্ত করা। উন্নতমানের বগি সংযুক্ত করা। ট্রেনে লাইট ও ফ্যান চালানোর ব্যবস্থা করা। ডেমু ট্রেন পুনরায় চালু করা ও ট্রেনের শিডিউল বাড়ানো। ট্রেনের গতি বৃদ্ধি এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের  শিক্ষার্থী কাজী আশিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল মহা ব্যবস্থাপক ও রেলমন্ত্রী বরাবর পৃথক দুইটি স্মারকলিপি দিয়েছি আমরা। রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রতন কুমার চৌধুরী স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেছেন। তবে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল মহা ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম আজকে চট্টগ্রামে না থাকায় উনার কাছে সরাসরি আমরা স্মারকলিপিটি দিতে পারিনি। তাই উনি চট্টগ্রামে ফিরলে সরাসরি উনার কাছে আবার স্মারকলিপি দেবো।

স্মারকলিপি দেওয়ার সময় চবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের তৌফিক আহমেদ, মোহাম্মদ মাহিন রুবেল, মাহবুবুল হাসান, মোহাম্মদ মাসুদ, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের আব্দুল্লাহ হাজারী, ইংরেজি বিভাগের রেদওয়ান আহমেদ এবং এমএ শামীম।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
এমএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।