চট্টগ্রাম: তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। একটু প্রশান্তির জন্য শিশু-কিশোরদের দিন কাটছে বিভিন্ন খাল বিল পুকুরে।
রোববার (১৭ জুলাই) নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভ্যাপসা গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন কর্মজীবীরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। রিকশা চালকেরা প্যাডেল মারতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন।
এখন বর্ষাকাল। ঝুম বৃষ্টিতে হওয়ার কথা। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। পড়ছে কড়া রোদ। প্রায় প্রতিদিন রেকর্ড হচ্ছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি কম হওয়ায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে গেছে। এতে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।
আন্দরকিল্লা এলাকায় রিকশাচালক আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ গরমে রিকশা নিয়ে বের হওয়া খুব কষ্টের। তারপরও পেটের দায়ে বের হতে হচ্ছে।
নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় বাজার করতে আসা মো. রশিদ বলেন, সূর্য ওঠার পর থেকে রোদের তাপ তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে। গরমের মধ্যে বাজার করতে এসে হাঁসফাঁস অবস্থা।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের সিআরবি এলাকায় একপাশে রিকশা রেখে গাছের ছায়ায় শুয়েছিলেন কয়েকজন রিকশাচালক। তীব্র গরমের কারণে রিকশা চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। অনেকে গাছের ছায়ায় শীতল বাতাসে বসে আড্ডা দিচ্ছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, গরমের কারণে অনেকেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। পানিস্বল্পতা, প্রস্রাবে সংক্রমণ, হিট স্ট্রোক, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, আমাশয়, গরমজনিত সর্দি-কাশি, জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও জন্ডিস দেখা দিচ্ছে। তাই গরমের দিনগুলোতে সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে। এসময়ে অতিরিক্ত মসলা, তেল, ভাজাপোড়া, রাস্তার খোলা খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রোববার (১৭ জুলাই) নগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৩ দমশিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি বেশি।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, রোববার নগরে আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। ১৮ জুলাইয়ের পর তাপমাত্রা কমতে পারে। একই সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতাও বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২২
বিই/এসি/টিসি