ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএনপি’র ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নল: আ জ ম নাছির

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২২
বিএনপি’র ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নল: আ জ ম নাছির

চট্টগ্রাম: মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বিএনপি’র ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নল। সকল অন্যায়-অনাচার এবং মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিদের প্রশ্রয়দাতা এ বিএনপি।

জিয়াউর রহমান গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব দিয়ে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। ৭১’র পরাজিত শক্তিকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছেন।
এ অমোচনীয় কলঙ্কের দায় বিএনপিকে অবশ্যই বহন করতে হবে এবং ইতিহাস তাদেরকে কখনই ক্ষমা করবে না।

শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শেখ হাসিনার ১৫ তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইন্ডেমেনেটি অধ্যাদেশ সহ কালো আইনগুলো বাতিল করেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখী করেন। ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামাত জোট সরকার দেশে লুটপাটের রাজত্ব শুরু করে। যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানানো হয়, হাওয়া ভবনের নীলনকশা অনুযায়ী গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রচেষ্টা চালানো হয়। সেদিন আমরা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মীদের হারিয়েছি। পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী স্প্রিন্টারবিদ্ধ হন, অনেকে চিরকালের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেন।  

মহানগর আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে যেদিন বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন সেদিন লক্ষ জনতার জনসমাবেশে জাতির উদ্দেশ্যে বলেছিলেন আপনারা যদি আমাকে একবার সুযোগ দেন এবং ব্যালট দিয়ে নির্বাচিত করেন তাহলে আমি স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সুফল বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবো। এই আবেদন নিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সকল জনপদ চষে বেড়িয়েছেন। দলকে চাঙ্গা করেছেন। মানুষ তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হলে দীর্ঘ ২১ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি তাঁর নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন হয়। ক্ষমতায় এসেই তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।  

সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রাজনীতি করতে গেলে জেলে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক জীবনের অর্ধেকটা সময় জেলে কাটিয়েছেন। আমার পিতা এবং আমিও জেলে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জেলে গিয়েছেন। কেননা জেল হচ্ছে রাজনীতিকদের দ্বিতীয় ঘর।  

তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতি হাজার হাজার বছর ধরে বিদেশী আগ্রাসনী শক্তির হাতে লুণ্ঠিত হয়েছে এবং শাসিত হয়েছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে বাঙালির ন্যায়সঙ্গত সংগ্রাম বিজয়ী হয়েছে। এই বিজয়ী শক্তি শেখ হাসিনাকে কারামুক্ত করেছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, থানা আওয়ামী লীগের ফিরোজ আহমদ,  সুলতান আহমদ চৌধুরী, এ এস এম ইসলাম, রেজাউল করিম কায়সার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মো. ইকবাল হাসান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২২
এমআই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।