নিউজ ডেস্ক
চট্টগ্রাম: অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেছেন, সরকারী সেবা আরও গতিশীল করতে সচিবালয়ের নির্দেশমালা আমাদের মাঠ প্রশাসনের জন্য অবশ্যই অনুস্বরণীয় একটি বিষয়। সচিবালয়ের ন্যায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার নন ক্যাডার পদে পদোন্নতিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান অত্যন্ত জরুরী।
শনিবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টায় নগরীর লালখান বাজারস্থ পিটস্টপ রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ মাঠ প্রশাসন কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার ঈদ পুনর্মিলনী ও সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এ বিষয়টি আলোচনা হওয়ার পর সরকার আমলে নেয়।
অনুষ্ঠানের চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. বদিউল আলম বলেন, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে কাজের পরিধি অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একজন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে একাধিক শাখায় কাজ করতে হিমশিম খেতে হয়। সরকারী সেবা আরও সহজ ও গতিশীল করতে সারাদেশে মাঠ প্রশাসনে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরকে জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার নন ক্যাডার পদে পদোন্নতি দিলে তারা প্রশাসনের একেকটি শাখায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। ৮৮ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে বর্তমানে সারাদেশে মাঠ প্রশাসনে প্রায় ৯০০ প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের পদোন্নতিসহ যৌক্তিক দাবীগুলো বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হবে।
সভায় সংগঠনের কর্মকর্তারা বলেন, প্রায় ৬০ বছরের অধিক সময় ধরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদটি সৃষ্টি হলেও পদোন্নতিসহ অন্যান্য সুযোগ রয়েছে। সচিবালয়ের ন্যায় মাঠ প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদ-পদবী পরিবর্তন ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার নন ক্যাডার পদ উচ্চতর গ্রেডে উন্নীতকরণসহ জেলা-উপজেলা প্রশাসন কর্মরত ও নবসৃষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কর্মপরিধি নির্ধারণে সরকারের কাছে জোর দাবী জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ মাঠ প্রশাসন কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইউনুছের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবু বকর ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ঈদ পুনর্মিলনী ও সাধারণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল চন্দ্র নাথ, সহ-সভাপতি মো. মমিনুল হক, সদস্য ড. আকবর হোসাইন, মো. শামসুল হক, মো. জসিম উদ্দিন, সোনারাম দে, মো. শাহ আলম, মো. সাহেব আলী, মো. কামাল উদ্দিন, কাজী আহছান উল্লাহ, হারাধন চন্দ্র মজুমদার, হারুনুর রশিদ, পিনাক পানি চৌধুরী, আবদুর রহিম, গৌরিকা চাকমা প্রমূখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২২
এমআর/টিসি