ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাজার সম্পর্কে ধারণা রেখে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের চামড়া কেনার পরামর্শ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২২
বাজার সম্পর্কে ধারণা রেখে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের চামড়া কেনার পরামর্শ ...

চট্টগ্রাম: বাজারে চাহিদা ও দামের পরিস্থিতি ভালোভাবে পর্যালোচনা না করে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করলে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা গত বছরের মতো লোকসানে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন চট্টগ্রামের আড়তদাররা।  

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি মো. আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের চামড়া কেনার প্রস্তুত রয়েছে।

তবে টাকার সংকট আছে। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দেয়, সেটা হচ্ছে চামড়া সংরক্ষণ করার পরের দাম।
 

‘প্রতি বর্গফুট চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ১৫ থেকে ১৮ টাকা খরচ আছে। সেই চিন্তা করেই মৌসুমি ব্যবসায়ীদের চামড়া ক্রয় করতে হবে এবং দ্রুত চামড়া বিক্রি করে দিতে হবে। অনেকে মনে করেন, আড়তদাররা এই দামে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ করবেন, এটা ভুল। উপজেলা পর্যায়ের যে চামড়া সংগ্রহ করা হয় তা যেন লবণ দিয়ে সেখানেই রেখে দেয়। ঈদের দুই-তিনদিন পরে যেন আড়তে নিয়ে আসে। তাহলে কোনও চামড়া নষ্ট হবে না। আমরাও ধীরে চামড়া ক্রয় করতে পারবো। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়ার বাজার সম্পর্কে ধারণা না রেখে বেশি দামে চামড়া ক্রয় করেন। আর আড়তদারদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে চান। যার কারণে আড়তদাররা তাদের কাছ থেকে চামড়া ক্রয় করেন না’।

তিনি আরও বলেন, লবণের দাম এবার বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। গত বছর লবণের দাম ছিলো সাড়ে পাঁচশ থেকে ৬০০ টাকা। এবছর সেই লবণের দাম হয়ে গেছে সাড়ে ৯শ থেকে ১ হাজার টাকা। প্রতিবর্গফুট চামড়ায় লবণ খরচই পড়ে যাবে ১৫ থেকে ১৬ টাকা। এক বস্তা লবণ দিয়ে ৭টি চামড়ায় লবণ দেওয়া যায়।  

চট্টগ্রামের আড়তদাররা জানান, এবছর চট্টগ্রামে চার থেকে সাড়ে চার লাখ গরু, এক লাখের বেশি ছাগল, ১৮ হাজার মহিষ ও ১৫ হাজার ভেড়ার চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে। ন্যায্য দাম না পাওয়ার অজুহাতে গত বছর সড়কে ফেলে রাখা হয় কোরবানির পশুর চামড়া। চাহিদামতো দামে এসব চামড়া আড়তদারদের কাছে বিক্রি করতে না পারায় রাস্তায় পঁচে যায়। দেশের চামড়া শিল্প বড় রকমের সঙ্কটে পড়েছিল। পুঁজি হারিয়েছিল অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী।

দেশে সারা বছর যে পরিমাণ পশু জবাই হয় তার সিংহভাগ হয় কোরবানির ঈদে। যারা কোরবানি দেন তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ী কিংবা মধ্যস্বত্বভোগীরা চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করেন আড়তদারদের কাছে। তারা সে চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করেন ট্যানারিতে। ট্যানারিগুলো কী দামে চামড়া সংগ্রহ করবে তা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

চট্টগ্রামের রিফ লেদার লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান বলেন, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চামড়ার চাহিদা আছে। চাহিদা গত বছর থেকে কিছুটা বাড়ছে। কিন্তু চামড়ার মূল্য বাড়ে নাই। আমাদের এক লাখের মতো চামড়া সংগ্রহ করার পরিকল্পনা আছে। বর্তমানে চামড়ার বাজারে সব থেকে বড় প্রতিবন্ধকতা- লবণের দাম। দাম বেড়ে যাওয়ায় আড়তদারদের খরচ বেড়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২২
এমআই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।