ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ফুটলো অজগরের বাচ্চা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২২
হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ফুটলো অজগরের বাচ্চা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় তৃতীয়বারের মতো ইনকিউবেটরে ফুটলো অজগরের বাচ্চা।

চট্টগ্রাম: নগরের ফয়’স লেক এলাকার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় তৃতীয়বারের মতো হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ফুটলো অজগড়ের বাচ্চা।  

প্রায় ৬৫দিন পর ডিম থেকে ফুটে বের হয়েছে মোট ১১টি অজগরের বাচ্চা।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. শাহাদাত হোসেন শুভ বাংলানিউজকে জানান, গত ২০ জুন আমাদের হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে অজগরের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে শুরু করে। এটি তৃতীয়বারের মতো সফলতা।

এবার ১১টি বাচ্চা পেয়েছি আমরা। এর আগে প্রথমবার ২৫টি, দ্বিতীয়বার ২৮টি বাচ্চা ফুটানো হয়েছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে। এসব বাচ্চা বংশবৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য উন্মুক্ত বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। অনেক সময় বন্যা, পাহাড়ি ঢলে কিংবা খাদ্যাভাবে লোকালয়ে নেমে আসে অজগর, তখন নির্বিচারে এ সাপটিকে মেরে ফেলেন অসচেতন মানুষ। তাই বন জঙ্গলেও আগের মতো অজগর চোখে পড়ে না।

তিনি জানান, অজগরের বাচ্চাগুলোর চামড়া বদলাতে প্রায় ১৫ দিন সময় লাগবে। এরপর খাওয়া-দাওয়া শুরু করবে তারা। ইঁদুর পাওয়া গেলে খেতে দেব, নয়তো মুরগির বাচ্চা দেওয়া হবে। এবারের বাচ্চাগুলোকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাসময়ে বনে ছেড়ে দেওয়া হবে।  

সূত্র জানায়, ১৯৮৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ৬ একর পাহাড়ি জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। বর্তমানে এ চিড়িয়াখানার জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২ একরে। একসময় বাঘশূন্য হয়ে পড়া এ চিড়িয়াখানায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানি করা হয় একজোড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার। তাদের পরিবারে জন্ম হয়েছে বিলুপ্ত প্রায় সাদা বাঘ। রয়েছে বিশাল পক্ষীশালা আর বিলুপ্ত প্রজাতির বেশ কিছু পশুপাখি। বর্তমানে সিংহ, জেব্রা, ময়ূর, কুমির, গয়াল, বানর, উল্লুক, ভালুক, চিত্রা ও সাম্বার হরিণ, চিল, শকুন, শজারু, উটপাখি, ইমু, শেয়াল, মেছোবাঘ, অজগর, গন্ধগোকুল, পায়রা, টার্কি, তিতিরসহ ৬৬ প্রজাতির ৬২০টি পশুপাখি রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।