ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১২০ মিটার দূর থেকে আগুন নেভাতে সক্ষম নতুন ২ টাগবোট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
১২০ মিটার দূর থেকে আগুন নেভাতে সক্ষম নতুন ২ টাগবোট ...

চট্টগ্রাম: চীনের হংকংয়ের Cheoy lee shipyard ইয়ার্ডে তৈরি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন টাগবোট কাণ্ডারী-৩ ও ৪। প্রতিটির ক্ষমতা ৭৫ টন বোলার্ড পুল।

এগুলো একেবারে আধুনিক প্রযুক্তির এএসডি টাগ অর্থাৎ টাগবোটগুলো একই স্থানে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে যেতে সক্ষম। একারণে টাগগুলো অধিক দক্ষতার সঙ্গে বড় বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে টোয়িং, পুলিং, পুশিং ইত্যাদি কাজে সাহায্য করতে পারবে।
 

টাগগুলোতে দুটি শক্তিশালী 3151 BHP অর্থাৎ (3151 BHP X 2 = 6300 BHP) ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন রয়েছে। এতে শক্তিশালী অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রয়েছে যার মাধ্যমে প্রায় ১২০ মিটার দূর থেকেও দক্ষতার সঙ্গে পানি এবং ফোম নিক্ষেপের মাধ্যমে জাহাজ ও জেটির যেকোনো আগুন নেভাতে সক্ষম। এছাড়াও নদীতে তৈল দূষণ  হলে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ছিটিয়ে দূষণ মোকাবেলা করতে পারবে। টাগ দুটিতে আধুনিক রাডার, জিপিএস, ইকো সাউন্ডার, অটো পাইলট, ইউএমএস, বেতার ও স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে, গভীর সমুদ্রেও যেকোনো জাহাজকে প্রতিকূল আবহাওয়াতে সাহায্য করতে সক্ষম। জ্বালানি ধারণক্ষমতা অনুযায়ী টাগবোট দুটি সমুদ্রে একটানা ১ মাস চলতে সক্ষম।

এ শিপ ইয়ার্ডে নির্মিত সমধর্মী টাগ সিঙ্গাপুর পোর্ট, সুয়েজ খাল, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ বিশ্বের বড় বড় বন্দরে ব্যবহৃত হচ্ছে। টাগবোট দুটি গত ১ জুন চীন থেকে রওনা হয় সাউথ চায়না সি, মালাক্কা স্ট্রেট এবং বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম বন্দরের সার্ভিস জেটিতে পৌঁছায়।

টাগ বোট চট্টগ্রাম বন্দরের সার্ভিস জেটিতে বার্থিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, CHEOY LEE SHIPYARDS LTD এর লোকাল এজেন্ট ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিন,  চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা ) মো. জাফর আলম, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, বন্দরের সব বিভাগীয় প্রধান, উপ-বিভাগীয় প্রধান।

বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত গুরু্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্হিবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ এবং কনটেইনারে পণ্য পরিবহনে ৯৮ শতাংশ এ বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।  

বিগত কয়েক বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এ কার্যপরিধি বিবেচনায় ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি বৃদ্ধি করা হয় বন্দরসীমা। বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে বন্দরের জেটিতে নিরাপদে ভেড়ানো এবং প্রস্থানকালে টাগবোটের ব্যবহার আবশ্যিক। চট্টগ্রাম বন্দরে সাধারণ প্রযুক্তির প্রায় ৮টি টাগবোট রয়েছে। বন্দরের বিদ্যমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আধুনিক ও অধিক শক্তিশালী টাগবোটের প্রয়োজন বিবেচনায় এই টাগবোট দুটি সংগ্রহ করা হয়।

এ ধরনের আধুনিক টাগবোট চট্টগ্রাম বন্দরের নৌবহরে সংযুক্ত হওয়ায় একদিকে যেমন বন্দরের সক্ষমতা বাড়ছে তেমনি মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডে বন্দরের সুনামও বাড়বে।  

>> চীনের তৈরি ২টি শক্তিশালী টাগবোট চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।