ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লিখিত পরীক্ষায় অন্যের ‘দয়ায়’ পাস, মৌখিকে এসে ধরা ১৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২২
লিখিত পরীক্ষায় অন্যের ‘দয়ায়’ পাস, মৌখিকে এসে ধরা ১৪ ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: জেলার রাজস্ব প্রশাসনের অফিস সহায়ক পদের মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে প্রক্সির দায়ে ধরা পড়েছেন ১১ পরীক্ষার্থী৷ এছাড়াও অন্যের খাতা দেখে পরীক্ষা দেওয়ার সময় আটক হয়েছেন আরও ৩ জন৷ তবে ওয়াশরুমে যাবে বলে এর আগেই ২১ জন পালিয়ে যান।  

বুধবার (১ জুন) সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম হলে এ মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া তাদের শারীরিক দক্ষতাও যাচাই করা হয়।  

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আটক এসব শিক্ষার্থীর হয়ে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন অন্যরা।

তবে মৌখিক পরীক্ষায় এসেছেন মূল পরীক্ষার্থীরা। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সময় তারা ফটোশপ করে আইডি কার্ডে প্রক্সি দেওয়া ব্যক্তির জায়গায় নিজের ছবি লাগান। জালিয়াতি করেছেন এমন ইঙ্গিত পেয়ে নজরদারি বাড়ান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।  

তারা দেখতে পান অনেকের মেধা ও দক্ষতায় ঘাটতি। আবার লিখিত পরীক্ষার সঙ্গে হাতের লেখায় অমিল থাকায় সন্দেহ আরও বাড়ে। পরে নানান প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পরেননি পরীক্ষারা। একে একে ১১ পরীক্ষার্থী স্বীকার করেন তাদের হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অন্যরা অংশ নিয়েছিলেন। পরে তাদের আটক করা হয়। পাশাপাশি অন্যের কাছ থেকে দেখে পরীক্ষা দেওয়ায় আরও ৩ জনকে আটক করা হয়।

এর আগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের রাজস্ব অফিস সহায়ক লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৬ এপ্রিল। এরপর ১ জুন তাদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য আহ্বান করা হয়। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন ২৩৭ জন পরীক্ষার্থী। এতে ১৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।  

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান বাংলানিউজকে বলেন, জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখায় অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম। তার দ্বিতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যারা আটক হয়েছেন তাদের আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছি। তারা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে যারা ভালো ছাত্র তাদের সঙ্গে টাকার বিনিময় করে এসব পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসেন।

যারা অন্যের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁরা হলেন- মো. ইবরাহীম, নাইমুল ইসলাম, মুরশেদুল আলম, মো. জুনায়েদ, বিপ্লব সুশীল, মনিদীপা চৌধুরী, মোজাম্মেল হোসেন, আলী আজগর, তম্ময় দে, নন্দন দাশ, মান্না দাশ।

অন্যের খাতা দেখে যারা কপি করেছেন- প্রীতম চৌধুরী, শেখর দাশ, রহিম উদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২২
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।