ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি, প্রস্তুত ৭০ বলী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২২
আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি, প্রস্তুত ৭০ বলী  ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: লালদিঘীর পাড়ের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের গোল চত্বরে তৈরি করা হয়েছে ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্তের মঞ্চ। সেখানে লড়বেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ৭০ জন বলী।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় বলী খেলার ১১৩তম আসর উদ্বোধন করা হবে। এ আয়োজনে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

মেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বলীখেলার ৪ জন রেফারীর মধ্যে একজন সাবেক কাউন্সিলর জামাল হোসেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সবশেষ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কুমিল্লার শাহজালাল। ফাইনালে তিনি পরাজিত করেছিলেন চকরিয়ার তারেকুল ইসলাম জীবনকে। এই দুইজন এবং রুবেল, মোমিন, তসলিম, সৃজন চাকমা, তপন চাকমা ও রিংকন বলী খেলবেন চ্যালেঞ্জিং রাউন্ডে। তাদের মধ্যে ৪ জন ‘এ’ গ্রুপে এবং ৪ জন ‘বি’ গ্রুপে লড়বেন।

এছাড়া নকআউট পর্বে লড়বেন আরও ৪০ জন বলী। ধাপে ধাপে সেমিফাইনাল পর্ব পার হয়ে ফাইনাল পর্বে খেলবেন বিজয়ীরা। এদের মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হবে আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ বলী।

এদিকে লালদিঘী মাঠ ঘেঁষে ফুটপাতে তৈরি করা হয়েছে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ। এরই মধ্যে প্রতিযোগিতার ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছে। এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন পাবেন ট্রফিসহ নগদ ২৫ হাজার টাকা। রানার্স আপ পাবেন ট্রফিসহ নগদ ১৫ হাজার টাকা। তৃতীয় স্থান অর্জনকারী পাবেন নগদ ৬ হাজার টাকা এবং চতুর্থ স্থান অর্জনকারী পাবেন নগদ ৫ হাজার টাকা। এছাড়া প্রথম রাউন্ডে জয়ী ৪০ জনকে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।  

২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত জব্বারের বলী খেলার ১১০তম আসরে ১১৩জন বলী অংশগ্রহণ করেছিলেন।  

মেলা কমিটির সদস্য সচিব ও আবদুল জব্বারের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, এই আয়োজন আমার দাদার নামে হলেও এটা আমাদের পরিবারে আর সীমাবদ্ধ নেই। এটা এখন চট্টগ্রামবাসীর সম্পদ। এবার মাঠ না পাওয়ায় আমরা খেলাটা রাস্তার পাশে করছি। কিন্তু আগামী বছর থেকে যেন বলীখেলা লালদীঘির মাঠে করতে পারি-সেই প্রত্যাশা থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২২
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।