ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাতের ইফতার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২২
নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাতের ইফতার  ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: মোহাম্মদ রমজান আলী। পেশায় রিকশা চালক।

তপ্ত গরমে রোজা রেখে রিকশা চালাচ্ছেন। ইফতার কোথায় করবেন তা জানা নেই।
তার ভরসা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে কম দামে ইফতার করা।  

সন্দ্বীপের আব্দুল্লাহ পেশায় সিএনজি অটোরিকশাচালক। তারও একই অবস্থা। ইফতারের সময় হলে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে কম খরচে ইফতার করবেন।

রমজানে নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাতের দোকান। কেননা সেখানে তারা কম দামে ইফতার করতে পারেন। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উচ্চাবিলাসী খাবার কেনার সামর্থ না থাকায় সাধারণ মানুষ ঝুঁকছেন ফুটপাত আর রেস্তোরাঁর সামনে বসা দোকানগুলোর দিকে।

পবিত্র মাহে রমজানকে ঘিরে প্রতিদিন নানা আয়োজন থাকছে চট্টগ্রামের দামি রেস্তোঁরা ও ফাস্ট ফুডের দোকানগুলোতে। সেসব দোকানে ভিড় করেন সমাজের উচ্চবিত্তরা। আর ফুটপাতের বিভিন্ন হোটেল ও ভাসমান দোকানই একমাত্র ভরসা নিম্ন আয়ের মানুষের। অল্প টাকায় তাদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হওয়ায় ফুটপাতের এসব ইফতার বাজারে ভিড় বেড়েছে।

রমজানে নগরের চকবাজার, জিইসি মোড়, নিউমার্কেট, আন্দরকিল্লা, ষোলশহর, দুই নাম্বার গেইট, আগ্রাবাদ, মুরাদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বসেছে অস্থায়ী এসব ইফতার সামগ্রীর দোকান।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গেইটের সামনে অস্থায়ী ইফতার বিক্রেতা সুহেল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে বেশিরভাগ রিকশা, ভ্যান ও সিএনজি অটোরিকশা চালকেরা কম দামে ইফতার সামগ্রী কিনে নেন। এখানে ছোলা, পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার সাধারণ ক্রেতারা খুশিমতো কিনতে পারেন।

নগরের দুই নাম্বার গেইটের ক্যাফে জান্নাত রেস্তোরাঁর সামনে ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন আব্দুল মোতালেব। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রমজানে আমাদের বেচা বিক্রি ইফতার সামগ্রীতেই। তাই হোটেলের সামনে ইফতার সামগ্রী সাজিয়ে রেখেছি। যাতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা নিঃসংকোচে ইফতারি কিনতে পারে।

চকবাজারের চিটাগাং হোটেলের মালিক মো. রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, দোকান থাকলেও রমজানে ইফতারের পসরা সাজিয়ে ফুটপাতেই বসা হয়। কারণ ইফতারের সময় ফুটপাতেই লোক বেশি হচ্ছে। বাড়ি ফেরার পথে এখান থেকেই ইফতারি কিনে নিচ্ছেন তারা।

ইফতারের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১০০ গ্রাম ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়, বেগুনি ৩ টাকা, পিঁয়াজু ৩ টাকা, প্রতি পিচ জিলাপি ৫ টাকা, সমুচা ৫ টাকা, চিংড়ির ফ্রাই মূল্য ১০০ টাকা, গ্রিল চিকেন সিঙ্গেল ৮০ টাকা, ফিস ফিজগার ২০ টাকা, চিকেন উইংস ২৫ টাকা, চিকেন পাটলি ২৫ টাকা এবং বারবিকিউ পরোটা ৩০ টাকা, সিঙ্গেল চিকেন ৫০ টাকা, পাকুড়া ১০ টাকা, চিকেন ছাবলি ২৫ টাকা, সাসলি কাবাব ৩০ টাকা, সাম্ভা কাবাব ৪০ টাকা ও জালি কাবাব ১০ টাকায়  বিক্রি করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ৩ এপ্রিল, ২০২২
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।