ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ, ট্রেনের কাউন্টারে ভোগান্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২২
অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ, ট্রেনের কাউন্টারে ভোগান্তি ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: গত পাঁচ দিন ধরে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধ। কাউন্টারে টিকিট কিনতে গিয়ে যাত্রীদের অপেক্ষার শেষ নেই।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত টিকিট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম ছাড়াও রাজশাহী, ঢাকা এবং বাইরের শহরগুলোতে ট্রেনের টিকিটের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।  

যাত্রীদের অভিযোগ, অনলাইনে ও কম্পিউটারের মাধ্যমে গত পাঁচ দিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য স্টেশনের কাউন্টারগুলোই একমাত্র ভরসা। কিন্তু কাউন্টারে টিকিট পাচ্ছেন না।

দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান যাত্রীরা। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট পাননি ঢাকাগামী আব্দুর রাজ্জাক।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দুই দিন ছুটি পেয়েছিলাম। তাই বাড়ি যেতে ট্রেনের টিকিট কাটতে এসেছি। কিন্তু ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাইনি। এরকম একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রেলওয়ের পূ্র্বপরিকল্পনা নেওয়ার উচিত ছিল। কিন্তু তারা নেয়নি। যে কারণে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তির সীমা নেই। আগাম প্রস্তুতি না নিয়ে এভাবে অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হয়নি।  

শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের টিকিট প্রত্যাশী যাত্রীদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হলেও মানুষ অপেক্ষা করেন ভোর থেকেই। অনলাইনে ও কম্পিউটারের মাধ্যমে গত পাঁচ দিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

টিকিট কাটতে আসা অনেক যাত্রী টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট পাচ্ছি না৷ কিন্তু বাইরেও কাউন্টারের ভেতর থেকেই টিকিট নিয়ে যাচ্ছেন রেলের লোকজন। টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে।  

অন্যদিকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, আমরা একটি নতুন কার্যক্রমে যাত্রা করেছি। যাত্রীদের একটু তো কষ্ট হবেই। ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আমরা সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে টিকিট বিক্রি করছি৷ যাত্রীদের সুন্দর সেবা প্রদান করাই আমাদের লক্ষ্য।  

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাফর আলম বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের সুবিধার্থেই আমাদের এ কার্যক্রম। সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশেই টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। টিকিট কালোবাজারির কোনো সুযোগ নেই। সার্ভিস প্রোভাইডার বদলের কারণে যাত্রীদের টিকিট পেতে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। আগামী ২৬ তারিখ থেকে ভোগান্তি কেটে যাবে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, লম্বা লাইনের সৃষ্টি হয়েছে। এটা কোনো বিষয়ই না। একটু কষ্ট তো হবেই। ট্রেনের টিকিট কিনতে হলে কষ্ট তো হবেই।  

সার্ভিস প্রোভাইডার বদলের কারণে নতুন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণের সুবিধার্থে গত ২১ থেকে ২৫ মার্চ অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ আছে। ফলে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে স্টেশনের কাউন্টার থেকে শতভাগ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। আগামী ২৬ মার্চ থেকে ট্রেনের টিকিট ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করবে সহজ লিমিটেড। তবে তারা ২৬ তারিখ থেকে রেল সেবা অ্যাপ টিকিট দেবে না, শুধু ওয়েবসাইটে টিকিট দেবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ২৫ মার্চ, ২০২২
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।