ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডলারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে গভর্নরকে মাহবুব আলমের চিঠি 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
ডলারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে গভর্নরকে মাহবুব আলমের চিঠি  চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম

চট্টগ্রাম: রমজানে ভোগ্যপণ্য আমদানি, শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতির ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে ডলারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরকে চিঠি দিয়েছেন দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম।

গত ১৪ মার্চ পাঠানো চিঠিতে তিনি বলেন, মুদ্রাবাজারে টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের অত্যধিক মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

গত কয়েক মাসের ধারাবাহিকতায় ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত মূল্য ৮৬ দশমিক ০৫ টাকা হলেও ব্যাংকগুলোতে ৮৮ দশমিক ৫০ টাকা থেকে ৮৮ দশমিক ৫৫ টাকা পর্যন্ত ডলার লেনদেন হচ্ছে।
অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ডলারের দামের পার্থক্য ২ টাকার বেশি। ফলে আমদানিকারকদের বিপুল পরিমাণ টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করতে হচ্ছে। খোলা বাজারে ডলারের দাম ৯২ টাকা অতিক্রম করেছে। এমতাবস্থায়, পবিত্র রমজান সামনে রেখে ভোগ্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ ব্যয় বাড়ছে। বাজারে দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।  

একই সঙ্গে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।  

এ পরিস্থিতিতে আমদানি করা ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক এবং ভোক্তাসাধারণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যেসব কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় বাড়ছে সেসব ফিনিশড প্রোডাক্টের দামও বাড়বে। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি শিল্পায়নের গতিকে ব্যাহত করবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বাজারে বিদ্যমান অস্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকলে ভোক্তাসাধারণ ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের জন্য বিরূপ পরিস্থিতির সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।  

আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য স্থিতিশীল থাকলেও শুধু ডলার মূল্যের পার্থক্যের কারণে পণ্যভেদে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা দাম বাড়ে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে ডলারের অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি উল্লেখিত খাতসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে পর্যাপ্ত ডলার রিজার্ভ রয়েছে।  

দেশে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে ডলার সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সংকট কাটানো সম্ভব বলে তিনি পত্রে উল্লেখ করেন।  

নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা, বাজারে স্থিতিশীলতা আনয়ন, শিল্পের কাঁচামাল মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিকারকদের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করা এবং অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ বৃদ্ধিসহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানান চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ১৬ মার্চ, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।