ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বঙ্গবন্ধু টানেলের ৮১ শতাংশ কাজ শেষ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
বঙ্গবন্ধু টানেলের ৮১ শতাংশ কাজ শেষ  ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া মেগা প্রজেক্ট বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ শেষ হয়েছে ৮১ শতাংশ। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বরে।

 

সেই হিসেবে প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে মাত্র ৯ মাস। এই সময়ের মধ্যে বাকি ১৯ শতাংশ কাজ শেষ করতে পারবেন বলে আশাবাদি প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।


 
বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, আলোচিত মেগা প্রকল্প ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ নির্মাণকাজ গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮১ শতাংশ শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাজও পুরোদমে এগিয়ে চলছে। সবমিলিয়ে ভালো অগ্রগতি রয়েছে প্রকল্পের। বাকি কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা যাবে।

প্রকল্পের কাজ নিয়ে কোনও সমস্যা না থাকলেও নতুন করে মাথাব্যথার কারণ হয়েছে ভবিষ্যতে টানেল ব্যবহারে যানজট নিয়ে। টানেল কেন্দ্রিক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।  

টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সিটি আউটার রিং রোড সবগুলো প্রকল্প চালু হলে আগামি ১০ বছর পর টানেলের দুই প্রান্তে যানজট বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে সিএমপি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানায় সংস্থাটি। তা আমলে নিয়ে সেতু বিভাগ সিএমপি উপকমিশনার (ভূ-সম্পত্তি ও উন্নয়ন) এসএম মোস্তাইন হোসেনকে প্রধান করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কমিটি গঠন করে। এ নিয়ে একাধিক বৈঠকে বসে কমিটি।  

যানজট নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে তার সুরাহা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ বলেন, বিষয়টি চট্টগ্রাম শহরের সমস্যা। আমাদের টানেল নিয়ে কোনও সমস্যা নয়। টানেল হওয়ার পর ১৫-২০ বছরে কি সমস্যা হতে পারে বিষয়টি সমাধানে সিডিএ, পুলিশ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটা কমিটি করা হয়েছে। তারাই এ নিয়ে কাজ করছেন। আমি এখন বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করছি না। টানেলের কাজটা যথাসময়ে কিভাবে শেষ করতে পারবো সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি।  

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপির উপকমিশনার (ভূ-সম্পত্তি ও উন্নয়ন) এসএম মোস্তাইন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, টানেল চালু হলে যানজট বাড়বে এমন আশঙ্কার কথা আমরা বরাবরই বলে আসছি। ইতিমধ্যে কমিটির বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশকিছু সিদ্ধান্তও হয়েছে। কিছু কাজও এগিয়েছে। সর্বশেষ ৩ মার্চ কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেখানে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। একটি ভালো ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কমিটি কাজ করছে।  

প্রসঙ্গত, ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মূল টানেল ছাড়াও পতেঙ্গা ও আনোয়ারা প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার একটি ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে এই প্রকল্প।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
এমএম/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।