ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কিশোরী ও মায়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য পরিমিত পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ   

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
কিশোরী ও মায়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য পরিমিত পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ    ...

চট্টগ্রাম: স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় পুষ্টি সেবা প্রতিষ্ঠানের (এনএনএস) লাইন ডাইরেক্টর ডা. এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, অপুষ্টি একটি জাতীয় সমস্যা। বাল্যবিয়ে ও অন্যান্য কারণে অনেক শিশু ও কিশোর-কিশোরী অপুষ্টিসহ রক্তশূন্যতায় ভুগছে।

তা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা সবার দায়িত্ব। কিশোরী ও মায়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য পরিমিত পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
 

আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির গোল অর্জনসহ কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতন করতে বর্তমান সরকার সারাদেশে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সর্বত্র ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে।  

রোববার (১৩ মার্চ) সকালে জিইসি মোড়ের দি পেনিনসুলা হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে মাতৃপুষ্টির জন্য জাতীয় নির্দেশিকা সংক্রান্ত বিভাগীয় অভিমুখীকরণ’ বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এনএনএস, আইপিএইচএন ও ইউনিসেফ’র সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করেন।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবতে হবে। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত প্রয়োজন। নতুবা জন্মের পর শিশু অপুষ্টিতে ভুগে বিকলাঙ্গসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সবার আন্তরিকতা ও সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে রোধসহ সারাদেশে মাতৃপুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব। জন্মের পর পর যে শিশুকে মায়ের দুধ ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প খাবার দেওয়া হবে না সে শিশু ভবিষ্যতে সুস্থ ও মেধাবী হবে।  

শিওর সেল চট্টগ্রামের হেড অব অপারেশন জয়নব রুমার সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. শাখাওয়াত উল্ল্যাহ, ইউনিসেফ’র চিফ অব ফিল্ড মিসেস মাধুরী ব্যানার্জী ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. সুমন বড়ুয়া। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনএনএস, আইপিএইচএন’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. মনিরুজ্জামান ও ইউনিসেফ’র নিউট্রিশন অফিসার ডা. উবাসুই চৌধুরী।

আলোচনায় অংশ নেন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. আবু জাফর মো. সাদেক, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অধ্যাপক ডা. জেবীন চৌধুরী, ডা. বাবলী  মল্লিক, গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মাফরুহা খানম, অধ্যাপক ডা. সিরাজুম নুর, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন ডা. নূপুর কান্তি দাশ, রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপাস খীসা, বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দী, কক্সবাজারের উপ-পরিচালক (পরিবার পরিকল্পনা) ডা. এম রাকিব উল্ল্যাহ, চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (পরিবার পরিকল্পনা) ডা. ছেহেলী নারগিস, চাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন, সুবর্ণচরের ডা. মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।