ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পোশাক খাতে আমদানি-রফতানি সহজীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
পোশাক খাতে আমদানি-রফতানি সহজীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ ...

চট্টগ্রাম: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক রফতানি, বন্ড ও আইটি) হোসেন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট বন্ডের কার্যক্রম সহজীকরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ইতিমধ্যে বন্ড অটোমেশন প্রকল্প নিয়েছে।

পোশাক শিল্পে রফতানির প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার স্বার্থে কাস্টমস বন্ড সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদনে কার্যক্রম সহজীকরণের কোনো বিকল্প নেই।

রোববার (১৩ মার্চ) দুপুরে খুলশীর বিজিএমইএ ভবনে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

 

এ লক্ষ্যে বিজিএমইএর প্রস্তাবনা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটগুলো  সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সমন্বয়ে ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে পোশাক শিল্পের বন্ড সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সহজীকরণে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি নির্দেশনা দেন। প্রয়াত বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাছির উদ্দিনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম, এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, এএম শফিউল করিম  (খোকন), মো. হাসান (জ্যাকি), এম আহসানুল হক, মিরাজ-ই-মোস্তফা কায়সার, সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফেরদৌস, এএম চৌধুরী সেলিম, সাবেক পরিচালক ও কাস্টমস বন্ড বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী চৌধুরী, কাস্টমস সী বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক পরিচালক সাইফ উল্লাহ মনসুর, আমজাদ হোসেন চৌধুরীসহ পোশাক শিল্পের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।  

কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির মহাপরিচালক মো. মাহাবুবুজ্জামান, কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার একেএম মাহাবুবুর রহমান, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বর্তমানে রফতানি আদেশ ক্রমন্বয়ে বাড়ছে। কাস্টমস্, বন্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।  

তিনি রফতানির প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার স্বার্থে কাস্টমস বন্ড সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সহজীকরণে বিজিএমইএর প্রস্তাবনাগুলো যেমন- বন্ড লাইসেন্সে নতুন কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদির নামসহ নতুন এইচএস কোড (পণ্যের পরিচিতি নম্বর) দ্রুত সংযোজন, অডিট কার্যক্রম সহজীকরণ করে দ্রুত অনুমোদন, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা পণ্য সংরক্ষণের জন্য অতিরিক্ত গুদাম অনুমোদন, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের কারখানার সমগ্র এলাকাকে বন্ডেড এলাকা ঘোষণা, কারখানা স্থানান্তর অনুমোদনে কার্যক্রম সহজীকরণ, ইপিজেডের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইন্টার বন্ড ট্রান্সফার অনুমোদনের ক্ষমতা বিজিএমইএকে প্রদান, জাল-জালিয়াতি রোধে পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মনোনিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের তালিকা অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতিতে সংযোজন, স্থানীয় বাজার থেকে নগদ মূল্যে কেনা কাপড়, সুতা ও এক্সেসরিজের ক্ষেত্রে অডিটকালে মূসক আদায় বন্ধ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধ জানান।

সভার শুরুতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক রফতানি, বন্ড ও আইটি) হোসেন আহমেদসহ কমিশনারদের বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ফুল ও স্মারক উপহার দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।