ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কোকেন চোরাচালান মামলার পৌনে ৭ বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২২
কোকেন চোরাচালান মামলার পৌনে ৭ বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় চোরাচালান আইনে মামলার পৌনে ৭ বছর পর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।

বুধবার (২ মার্চ ) দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

 ৩০ মার্চ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ দিয়েছেন আদালত। এর আগে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছিল।
 

মামলার আসামিরা হলেন- খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মালিক নূর মোহাম্মদ, মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মো. মেহেদী আলম, গার্মেন্ট পণ্য রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) একেএম আজাদ রহমান, সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদের ভাই খান জাহান আলী লিমিটেডের পরিচালক মোস্তাক আহমদ খান, দুই যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া। আদালতে উপস্থিত ছিলেন একে এম আজাদ, সাইফুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল ও মো. আতিকুর রহমান।

মহানগর পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দ করার ঘটনায় চোরাচালানের মামলায় তৎকালীন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান, সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক ও  তৎকালীন সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার মো. মোশারফ হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। অভিযুক্ত আতিকুর রহমান, মোস্তফা কামাল ও একেএম আজাদকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর আটক করে তৎকালীন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করেন। সেই বিষয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেন।

তিনি বলেন, তৎকালীন সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার মো. মোশারফ হোসেন চট্টগ্রাম বন্দরে সিঙ্গাপুর থেকে আসা জাহাজ ও জাহাজ থেকে কোকেনের কনটেইনার নামানোর ডকুমেন্টের জব্দ তালিকার সাক্ষী ছিলেন। সেই বিষয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেন। চোরাচালান মামলায় আদালতে ৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

একই আদালতে তিনজন সাক্ষী কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় মাদক আইনে দায়ের হওয়া মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, আগামী ৩০ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। পাঁচ জন আসামি চার্জ গঠন করার সময় উপস্থিত ছিলেন।  

শুনানিতে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর নোমান চৌধুরী, আবু জাফর, অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমেদ শাকিল, আবু ঈসা ও মো. সাহাব উদ্দীন।

২০১৫ সালের ৬ জুন কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে ১টির নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়।

পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় (৯৬ ও ৫৯ নম্বর) কোকেন শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদক ও চোরাচালান আইনে মামলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২২ 
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।