ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

একুশ সব মানুষের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন: ড. অনুপম সেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
একুশ সব মানুষের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন: ড. অনুপম সেন বক্তব্য দেন খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন

চট্টগ্রাম: একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বের সব মানুষের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. অনুপম সেন।  

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম চত্ত্বরে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে পালিত মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ১৯০ বছর ব্রিটিশ শাসনামলের পর পাকিস্তান নামের যে রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছিল তাতে ৫৬ শতাংশ বাঙালি থাকা সত্ত্বেও উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল তা রুখে দাঁড়াতে বাঙালির রক্ত ঝরেছে।

আর এই রক্ত ঝরার মধ্য দিয়ে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছি। এ অর্জন আমাদের জন্য বিশাল গৌরবময় অধ্যায়।  

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, মেলা কমিটির আহ্বায়ক ও শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক।  

উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলাকে ঘিরে নানা ধরনের অপ্রীতিকর গুজব ছড়ানো হচ্ছে- মেলায় নাকি ইসলাম ধর্মীয় বইকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।  

এ ধরনের অপপ্রচারে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ইসলাম ধর্মীয় বই রাখা যাবে না এ ধরনের কথা কোথাও বলা হয়নি। অবশ্যই ইসলাম ধর্মীয় বই রাখা যাবে তবে মৌলবাদী বই বা জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করে এমন বই মেলায় প্রদর্শন বা বিক্রি করা যাবে না। যারা ইসলামি বই বিক্রি নিষিদ্ধ বলে মিথ্যে গুজব ছড়াচ্ছে তারা একাত্তরেও এ ধরনের ভূমিকায় ছিল। এখনো তারা সেই তৎপরতায় আছে।  

মেয়র বলেন, আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। প্রতিবছর চসিক এখানে একুশের বইমেলা করে থাকে। গত দু’বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও বইমেলা আয়োজন করা যায়নি। এ বছর সংক্রমণ হার কম থাকায় এবং প্রকাশক, সংস্কৃতিসেবী, শিক্ষার্থী, বইপ্রেমীদের দীর্ঘদিনের অবরুদ্ধতার অবসান ঘটানো লক্ষ্যে ও মানসিক স্থবিরতা দূরীকরণে চসিকের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজের সহযোগিতায় বইমেলা আয়োজন করা হয়েছে।  

মেয়র স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলাকে প্রাণবন্ত করে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।